প্রকাশ: ৩ আগস্ট ২০২৫, ১২:২
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার (৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এ কার্যক্রম শুরু হয়। বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে মামলার শুনানি চলছে।
এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। মামুন নিজের দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ায় আদালতে হাজির হন এবং সাক্ষ্য প্রদান শুরু করেন।
প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম জানান, এ মামলায় পাঁচটি মানবতাবিরোধী অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন, যার প্রেক্ষিতে সরকারি বাহিনী ও সশস্ত্র সংগঠন দেড় হাজার নিরীহ আন্দোলনকারীকে হত্যা ও ২৫ হাজারকে আহত করে।
দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, আন্দোলন দমন করতে হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেন হাসিনা, যা কার্যকর করেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি। তৃতীয় অভিযোগে রংপুরে ছাত্র আবু সাঈদের গুলি করে হত্যা, চতুর্থটিতে রাজধানীতে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা এবং পঞ্চমটিতে আশুলিয়ায় ছয়জনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আদালত অবমাননার এক মামলায় এর আগে হাসিনাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা চলমান রয়েছে, যার মধ্যে হেফাজতের ঘটনাসহ বিভিন্ন গুম-খুনের অভিযোগ রয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এটি প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ যেখানে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি আওতায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে এ কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচারও করা হচ্ছে।