প্রকাশ: ২ আগস্ট ২০২৫, ১১:২৫
যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধভাবে অবস্থানের অভিযোগে ৩৯ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। শনিবার সকালে একটি মার্কিন সামরিক বিমানে তারা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়তে থাকছে।
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগ জানিয়েছিল, মোট ৬১ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হবে। তবে পুলিশের বিশেষ শাখার সূত্র বলছে, চার্টার্ড ফ্লাইটে অন্তত ৩০ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরছেন। প্রথমে সংখ্যা বেশি জানানো হলেও পরে তা কমানো হয়।
২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়। ভারত, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অবস্থানের অভিযোগে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশিরাও রয়েছে।
ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ মানবিক আচরণ করে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও ফেরত আসা নাগরিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল ও মানবিক আচরণ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়। এই দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।
এই দফায় যারা দেশে ফিরছেন, তাদের সঙ্গেও যথাযথ ও মানবিক আচরণ করা হবে বলে প্রত্যাশা প্রকাশ করা হয়েছে। আগেও বিভিন্ন সময় ১১৮ জনের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। প্রতি মাসে অবৈধ অবস্থানের অভিযোগে কিছু পরিমাণ বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসছেন।
গতকাল শুক্রবার (১ আগস্ট) ফেরত আসা বাংলাদেশিদের পাশাপাশি শনিবার আসা নতুন দফায় বাংলাদেশিরা দেশে ফিরেছেন। এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করছে এবং ফেরত আসা বাংলাদেশিদের কল্যাণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে। তবে, এই অবৈধ অভিবাসন বন্ধে দেশের নাগরিকদের সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশে বৈধ অভিবাসনের জন্য সঠিক তথ্য সংগ্রহ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি। অবৈধ পথে যাওয়া কেবল ব্যক্তিগত জীবনে নয়, দেশের ইমেজেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই আইনি পথে ভ্রমণ ও অবস্থানের গুরুত্ব বুঝতে হবে সবাইকে।
এই প্রক্রিয়া দেশের সঙ্গে বিদেশের দেশগুলোর সম্পর্কের অংশ হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম আরও সুসংগঠিত এবং মানবিকভাবে পরিচালিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।