প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:৫
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ২১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে যাচ্ছেন। এই সফরে তিনি দেশ এবং সরকারের চলমান উন্নয়ন ও সংস্কার কার্যক্রম তুলে ধরবেন।
ড. ইউনূস ২৬ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। সেখানে তিনি আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি, ঐকমত্যের ভিত্তিতে চলমান সংস্কার কার্যক্রম এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করবেন। প্রধান উপদেষ্টা এই ভাষণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সংস্কারের অগ্রগতি তুলে ধরবেন বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
এ সফরে তার সঙ্গে থাকবেন চারজন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। বিএনপির পক্ষ থেকে থাকছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির। এছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এবং এনসিপি থেকে আখতার হোসাইন সফর করবেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বুধবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সফরের বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এবারই প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ মহাসচিবের সভাপতিত্বে রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এটি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা সফরের সময় চারজন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি তার সঙ্গে থাকবেন, যা দেশের বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সমন্বয় ও ঐকমত্য প্রদর্শনের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। তারা জাতিসংঘে বাংলাদেশ সরকারের কর্মকাণ্ড, নির্বাচন প্রস্তুতি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অগ্রগতি তুলে ধরতে সহযোগিতা করবেন।
জাতিসংঘের অধিবেশন শেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২ অক্টোবর দেশে ফিরবেন। এই সফর দেশের আন্তর্জাতিক সচেতনতা বাড়াতে এবং রাজনৈতিক সংস্কারের অগ্রগতি বিশ্বদরবারে উপস্থাপন করতে সহায়ক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সফরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তার ইতিবাচক ভূমিকা সম্পর্কে অবহিত হবে। সফরের প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের এই অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই সফর দেশের কূটনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করার পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সমন্বয় বাড়াবে।