রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তিন ইনচার্জকে একযোগে বদলি

নিজস্ব প্রতিবেদক
শ.ম.গফুর , উপজেলা প্রতিনিধি উখিয়া- কক্সবাজার
প্রকাশিত: সোমবার ২রা সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১০:১৭ অপরাহ্ন
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তিন ইনচার্জকে একযোগে বদলি

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ক্যাম্প ইনচার্জ এর দায়িত্বে নিয়োজিত শামীমুল হক পাভেল (উপ-সচিব), আব্দুল ওয়াহাব রাসেদ (সিনিয়র সহকারী সচিব) ও সহকারী সিআইসি জাহাঙ্গীর আলম কে প্রত্যাহার করে নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি আদেশে তাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে উখিয়ার কুতুপালং মধুরছড়া, লম্বাশিয়া, হাকিমপাড়া ও জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্বপালন করে আসছিলেন।

দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-১ অধিশাখার উপ-সচিব মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ কর্তৃক স্বাক্ষরিত পৃথক ২টি বদলীর প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এ বদলীর আদেশ দেওয়া হয় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন জানিয়েছেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি আদেশে উখিয়ার বিভিন্ন দায়িত্বরত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ শামীমুল হক পাভেল, আব্দুল ওয়াহাব রাসেল ও সহকারী সিআইসি জাহাঙ্গীর আলমকে বদলি করা হয়েছে ঢাকায়।

জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছেন অভ্যন্তরিণ কিছু কারণ রয়েছে। বিশেষ করে গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মহাসমাবেশ করার অনুমতির একটি আবেদনের বিষয়ে তিনি কাউকে কিছুই জানায়নি। তবে তার বদলির আদেশে এই রকম কিছু লেখা নেই’।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছেন, শামীমুল হক পাভেল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে স্বেচ্ছাচারিতা, ক্যাম্পে নানা অনিয়ম ও বাণিজ্যিক কাজে জড়িত রয়েছে। সর্বশেষ গত ২৫ আগস্ট উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধুরছড়ায় রোহিঙ্গাদের মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এজন্য তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কারণ, ওইদিন রোহিঙ্গা নেতা মুহিব উল্লাহ সমাবেশের অনুমতির জন্য ‘সিআইসি’ হিসাবে তার বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু, আবেদনের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে সমাবেশের মৌখিক অনুমতি প্রদান করেন তিনি। মুলত: এই কারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অবশ্য, এসব অভিযোগ বরাবরের মতো অস্বীকার করে আসছেন ‘সিআইসি’ শামীমুল হক পাভেল। তিনি বলেছেন, ‘অভিযোগ গুলো সত্য নয়। আমি সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করে এসেছি। গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা নেতা মুহিব উল্লাহর স্বাক্ষরিত একটি আবেদন আমার কাছে নিয়ে আসেন। স্বাভাবিকভাবে কেউ আবেদন নিয়ে আসলে সেটি রিসিভ করা আমার দায়িত্ব। তাই আমি আবেদনটি রিসিভ করেই ৩ থেকে ৪ ঘন্টা মধ্যে আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমার উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ আমাকে কিছুই বলেননি। তাই আমিও রোহিঙ্গাদের অনুমতির ব্যাপারে কিছু বলেনি। এরই মাঝে রোহিঙ্গারা সমাবেশ করে। এর বেশী কিছু না’।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো: আবুল কালাম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘শুধু শামীমুল হক পাভেল সহ আরো কয়েকজনকে বদলী করা হয়েছে। তবে এটি মুলত: নিয়ম অনুযায়ী তাদের বদলির আদেশ দিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রাণালয়। রোহিঙ্গাদের সমাবেশের কারণ তাদেরকে বদলি করার বিষয়টি সত্য নয়’।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব