নেছারাবাদের ইউপি সদস্য মুহিদের কারণে একটি অজো পাড়া গাঁ আজ আলোকিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ হাবিবুল্লাহ মিঠূ, উপজেলা প্রতিনিধি নেছারবাদ- পিরোজপুর
প্রকাশিত: সোমবার ৩০শে ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:২০ অপরাহ্ন
নেছারাবাদের ইউপি সদস্য মুহিদের কারণে একটি অজো পাড়া গাঁ আজ আলোকিত

নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের একসময় অজোপাড়া গাঁ ছিল মাহমুদকাঠি,দক্ষিণ মাহমুদকাঠি ও হরিহরকাঠি নিয়ে গঠিত ৮নং ওয়ার্ডটি। ওই ওয়ার্ডে ছিলনা ভাল  কোন রাস্তাঘাট। প্রকৃতীতে সন্ধ্যা নামলেই বিদঘুটে অন্ধকার ঘনিয়ে আসতো ওয়ার্ডের চারদিকে। গ্রামের অধিকাংশ মসজিদই ছিল কাঁচাঘরের। অসহায় দুস্থরা ভাতার জন্য ধারে ধারে ঘুরত জনপ্রতিনিধিদের। সে গ্রামের মানুষ আজ সচেতন। পাচ্ছেন সরকারের বরাদ্দ অনুয়ায়ি নাগরিক সুযোগ সুবিধা। ওই অজো পাড়া গায়ে এখন হয়েছে দু‘টি ইটের সলিং রাস্তা। চলমান আছে চারটি মাটির কাঁচা রাস্তা। সন্ধ্যা হলেই এখন ওই বিদঘুটে অন্ধকারচ্ছন্ন রাস্তায় জ্বল জ্বল করে জ্বলছে সড়ক বাতি। সাধারন মানুষেরা পান করতে পারছেন সুপিয় নলকূপের পানি। গৃহহীনরা বসবাস করছেন সরকারি  দেওয়া ঘরে। আর ওই অজো পাড়া গাঁটিতে এত কিছু সম্ভব হয়েছে গ্রামের ইউপি সদস্য মো.মুহিদ এর কারণে। সে ২০১৬সালের মার্চ মাসে ইউপি নির্বাচনে ওই ওয়ার্ড  থেকে বিপুল ভোটে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। সেই থেকে প্রায় চার বছর ধরে ইউপি সদস্য মুহিদ নিরলস জনসেবা দিয়ে যাচ্ছেন গ্রামের মানুষের দোড় গোড়ায়। তার কর্মকান্ডে এলাকাবাসী আজ মুগ্ধ বলে জানান স্থানীয় সচেতনজন।

স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক বিমল বলেন, তাদের ওয়ার্ডে তরুন ইউপি সদস্য মুহিদ গত চার বছরে যে উন্নয়ন করেছেন যা, বিগত চল্লিশ বছরেও কেহই করেননি। এলাকার রাস্তাঘাট, পুল কালভার্ট,নলকূপসহ একটি অজো পাড়া গাঁ সাজাতে যা করার দরকার তা তিনি করে যাচ্ছেন। যার সুফল তারা গ্রামবাসী ভোগ করছেন। ওই স্থানীয় চিকিৎসক দাবী করে আরো বলেন, তারমত ইউপি সদস্য ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে যদি থাকে তাহলে গ্রামবাসী শতভাগ নাগরিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। মোট কথা তার কারণে গ্রামটি এখন আলোকিত হচ্ছে। তাই ভাল মানুষের প্রশংসা করতে দ্বিধাবোধ করছিনা।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মুহিদ বলেন, “আমি ২০১৬সালের মার্চ মাসে ইউপি নির্বাচনে ওই ওয়ার্ড  থেকে বিপুল ভোটে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। গত চার বছরে ওয়ার্ডেও গুরুপ্তপূর্ন জায়গাগুলোতে কয়েকটি ঘাটলা, টিওবয়েল, লোহারপুল, কালভার্ট, ইটসলিং ও কাঁচা রাস্তা করেছি। এছাড়াও এলাকায় ঘুরে ঘুরে যোগ্য লোকদের সরকারি ভাতা কার্ড এনে দিতে পারছি। আর এত কিছু সম্ভব হয়েছে এলাকার লোকদের ভালবাসা ও  দোয়ার কারণে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব