আকাশে মেঘ জমলেই সরাইলে বিদ্যুৎ নাই!

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো: তাসলিম উদ্দিন, নিজস্ব প্রতিনিধি সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশিত: শনিবার ৩০শে মে ২০২০ ০৮:০১ অপরাহ্ন
আকাশে মেঘ জমলেই সরাইলে বিদ্যুৎ নাই!

সরাইলের অনেক বিদ্যুৎ গ্রাহক এমন করে বলেন, আগের স্যার থাকতে আমরা দেখছি বিদ্যুৎতের কোন সমস্যা হলে। খুঁটির গুড়িতে লোকজন নিয়ে কাজ করে সমস্যা সমাধান করে লাইন চালো রেখেছে। এখন মেঘ দেখলেই বিদ্যুৎ থাকে না। আর অফিসে ফোন দিলে বিদ্যুৎ অফিস থেকে বলে আমি না, এ স্যারকে, এ স্যার অইস্যার জানে।

অই স্যার বলে বড় স্যারকে জানান, সরাইলের একাধিক বিদ্যুৎত গ্রহক আক্ষেপ করে বলেন, এখন স্যারে স্যারে বিদ্যুৎ-! কিছু দিন আগেও সরাইলের বিদ্যুতের অবস্হা ভাল ছিল, এখন মেঘ কিংবা আকাশের হাসিতে বা সামান্য বৃষ্টি বাতাসেই সরাইলে বিদ্যুৎ উধাও হয়ে যায়, তিন থেকে চার ঘন্টা পর তার দেখা মেলে।রাতে একবার গেলে আসে আবার পরের দিন। করোনার মাঝে গরম এই বিদ্যুৎ বিন্দ্রাটেই দুর্ভোগে আছে সরাইল উপজেলা বাসী। স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন রাতে -দিনে শুধু  সদর এলাকাসহ পাঁচ - ছয়বার বিদ্যুৎ আসা- যাওয়া করে। তার উপরে বৃষ্টি হলে এক থেকে দুঘন্টা বিন্দ্রাট সংঘটিত হচ্ছে। এ ছাড়া মেঘ- বৃষ্টি ঝড়ে তিন - চার ঘন্টা পযর্ন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ৩০ মে রাতের শেষ ভাগে বৃষ্টি নামলেই বিদ্যুৎ নাই। এ রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত বিদ্যুতের দেখা মেলেনী। সরাইল উপজেলার উচালিয়া পাড়ার চৌরাস্তায় নতুন বিদ্যুৎতের খুঁটি। প্রতিনিয়তো ঝুঁকি নিয়ে  যানবাহন চলাচল করছে। এ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুক লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু  তাদের চোখের সামনে। এদিকে সদরের উচালিয়া পাড়া গ্রামের কেন্দ্রীয়  মসজিদের পশ্চিম পাশেও বিভিন্ন গ্রামগুলোতে তার ঝুলে বিদ্যুৎতের লাইনে সংযোগ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ অবস্থাতে রাখা হয়েছে। যেন এসব এলাকায় সামান্য বাতাসেই এবং ঝড়ে- বৃষ্টিতে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। আবার দালান বা টিনের ঘরের চালের উপর। ছাদ ঘেঁষে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের তার নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ গ্রাহক মনজু মিয়া জানান,আগেতো এমন ছিল না, এখন আকাশে মেঘ দেখলেই বিদ্যুৎ নাই-! ভুক্তভোগীরা জানান, করোনার মাঝে বিদ্যুৎত চলে গেলে অন্ধকারে হয় অনেক সময়।

বিদ্যুৎ না থাকায় কাজের ভোগান্তি পোহাতে হয়। তার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎতের আসা যাওয়ার খেলাই প্রচণ্ড গরমে বৃদ্ধা- শিশুসহ জন জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এদিকে সামাজিক যোগাযোগে ফেসবুকে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন অনেকে। এ ব্যপারে সরাইল বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নেওয়াজ আহমেদ খান বলেন, বৃষ্টিতে সরাইলের লানের ডিসএন্টিলেটার সমস্যা হয়ে এ সময় বিদ্যুৎ ছিলনা। 

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব