বরিশালরের মুলাদীতে টেন্ডার ছাড়াই আনুমানিক তিন লক্ষাধিক টাকার সরকারি গাছ কর্তন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে । উপজেলা প্রশাসনের আওতাধীন মুলাদী প্রেসক্লাব রোডের ১৩টি মেহগনি গাছ দরপত্র ছাড়াই কেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে । গাছ কর্তনের বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা কিছু জানেন না বলে দাবী করেছেন।গত শুক্রবার এসব গাছ কাটা শুরু করেন স্থানীয় শ্রমিকরা । উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব শ্রমিকদের মজুরী পরিশোধ করেন বলে জানিয়েছেন শ্রমিক মঞ্জু মোল্লা।
উপজেলা বন কর্মকর্তা খলিলুর রহমান জানান, বেশ কিছুদিন পূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুলাদী প্রেসক্লাব থেকে থানা স্টেডিয়াম পর্যন্ত সড়কের গাছ গুলো পরিমাপ করার জন্য মৌখিক ভাবে নিদের্শনা দিয়েছিলেন। কিন্তু গাছ গুলোর পরিমাপ করা হয়নি। এর বেশি কিছু আমার জানা নাই।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার শুভ্রা দাস জানান, মুলাদী পৌরসভা রাস্তা সংস্কারের জন্য গাছ গুলো অপসারণের আবেদন জানিয়েছে । গাছগুলো টেন্ডার প্রক্রিয়ায় বিক্রি করতে গেলে সময় সাপেক্ষ। তাই মুলাদী উপজেলা মাসিক মিটিং ও জেলা প্রশাসককে অবহিত করে এবং উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি উত্থাপন করে গাছ গুলোর দাম নির্ধারণ পূর্বক একজনের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সেই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।
মুলাদী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাইনুল আহসান সবুজ জানান, উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় গাছ বিক্রি কিংবা কর্তনের বিষয়ে কোন প্রকার আলোচনার বিষয়ে আমার জানা নাই | বরিশাল জেলা প্রশাসক এস, এম. অজিয়র রহমান জানান মুলাদী উপজেলা প্রশাসনের গাছ বিক্রির বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।