হাতকড়া ডান্ডাবেড়ি নিয়ে মায়ের জানাজার ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘন: গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক
খোরশেদ আলম, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার ২৩শে ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:০০ অপরাহ্ন
হাতকড়া ডান্ডাবেড়ি নিয়ে মায়ের জানাজার ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘন: গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বের চন্দ্র রায় বলেছেন, সবচেয়ে করুন দৃশ্য হচ্ছে আলী আজমের মা মারা গেলো এরপর প্যারোলে সে জানাজায় আসলেন কিন্তু মায়ের কবরে নামতে পারলেন না ‘ আলী আজম একজন সাহসী রাজনৈতিক কর্মী। যে মামলায় তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে সেই মামলার একহাজারভুক্ত আসামি নন তিনি । সে চোর কিংবা ডাকাতও না। তবুও ডান্ডাবেড়ি হাতকড়া পরেই মায়ের জানাজা পড়ালেন। এতে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে।’ 


বিএনপি নেতা আলী আজমকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে মাযের জানাজায় নেওয়ার ঘটনায় পরিবারকে সমবেদনা জানাতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। 


শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা আলী আজমের বাড়িতে আসেন। গ্রেপ্তার বিএনপির নেতা আলী আজমের পরিবারকে সমবেদনা জানান এবং তার স্ত্রীর হাতে নগদ অর্থ অনুদান তুলে দেন।  


আলী আজম গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। তার মা মোসাম্মদ সাহেরা বেগম বার্ধক্যজনিত কারণে গত রোববার বিকালে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।আলী আজমকে একটি রাজনৈতিক মামলায় গত ২ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলে থাকা অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর আলী আজমের মা মারা যান। 


২০ ডিসেম্বর আলী আজম প্যারোলে মুক্তি পেয়ে হাতকরা ও ডান্ডা পরা অবস্থায় মায়ের জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। নিজেই ইমামতি করেন মায়ের জানাজার। তার সেই জানাজার নামাজ পড়ানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।


আলী আজমের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার লিপি বলেন,  তবে আমার স্বামী নির্দোষ। তার নামে কোনো মামলা ছিল না। আমার স্বামীর শোকে শাশুড়ি মা মারা গেছেন। সবচেয়ে কষ্ট লেগেছে সে বাড়িতে আসার পরেও কথা বলতে পারেনি। মায়ের জানাজায় আসার পরও তার ডান্ডাবেড়ি এবং হাতকড়া খুঁলে দেওয়া হয়নি এটা আমাদের ও এলাকাবাসীকে কষ্ট দিয়েছে। জানাজা শেষে তিনি পানি খেতে চেয়েছিলেন কিন্তু সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমরা সরকারের কাছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এই নির্দোষ মানুষটির মুক্তি চাই।’


এসময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আ. সালাম আজাদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমদ প্রমুখ।