পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ১০ বছর পর উপজেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় মাঠে এ সম্মেলন হয়। তবে কমিটি গঠন ছাড়াই শেষ হলো দুইটি অধিবেশন। দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, দ্বিতীয় অধিবেশনে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় পরবর্তীতে কমিটি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা কমিটি।
এরআগে সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রথম অধিবেশন শুরু হয় এবং শেষ হয় দুপুর দেড়টায়। দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হওয়ায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিল নেতাকর্মীদের মধ্যে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীরা কর্মী-সমর্থক নিয়ে মিছিল করে সম্মেলনস্থলে যোগ দেন। এতে হাজারও নেতাকর্মীর ঢল নামে সেখানে। নেতাকর্মীরা জানান, তাদের প্রত্যাশা ছিল কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি ঘোষণা হবে।
কিন্তু দুপুর আড়াইটায় দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হলেও পদপ্রত্যাশীদের সমঝোতা না হওয়ার কারণ দেখিয়ে কমিটি গঠন বা ঘোষণা করতে পারেননি বলে জানান জেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদ। জানা গেছে, দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের প্রস্তাব-সমর্থনের মাধ্যমে সভাপতি পদে ১০ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৭ জনের নাম গ্রহীত হয়। এদের মধ্য থেকেই নতুন নেতৃত্ব আসবে। জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সৈয়দ মো. সোহেল জানান, ‘সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী হওয়ায় নিজেদের মধ্যে সমঝোতার কথা বলা হলে তা করতে পারেনি।
এছাড়া ভোট প্রক্রিয়ায় না গিয়ে জেলা কমিটির সিদ্ধান্তের ওপর আস্থা রেখেছেন তারা। আমরা কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিব।’
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমান মহিব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি মুরসালিন আহম্মেদ ও সহ-সম্পাদক মাসুদুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় যুবলীগের আরও নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদ এবং প্রধান বক্তা ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মো. সোহেল। আর সভাপতিত্ব করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির তালুকদার।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে উপজেলা যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সম্মেলনে স্থানীয়ভাবে একটি মৌখিক কমিটি ঘোষণা করা হলেও তা স্থগিত করে পরে ২০১৪ সালের ১০ জুন হুমায়ুন কবির তালুকদারকে সভাপতি ও মিলন খলিফাকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে জেলা যুবলীগ। তিন বছরের জন্য অনুমোদিত ওই কমিটিই টানা ৯ বছর দায়িত্ব পালন করে আসছিল।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।