প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৪
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় সনদসহ পাঁচ দফা দাবিতে দলটি ধারাবাহিক বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে যা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সোমবার রাজধানীর মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি জানান, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেশের জনগণের কাছে এক অস্থিরতা তৈরি করেছে এবং জনগণের দাবি অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সময়ে পিআর পদ্ধতি চালু না করলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে।
তিনি বলেন, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে জামায়াত। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর বিভাগীয় শহরগুলোতে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মাধ্যমে দলটি দেশের প্রতিটি অঞ্চলে আন্দোলন বিস্তৃত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মোহাম্মদ তাহের দাবি করেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া গণঅভ্যুত্থান সফল হওয়া কঠিন। তিনি উল্লেখ করেন, দেশের জনগণ ন্যায়সঙ্গত দাবি বাস্তবায়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ হলে যে কোনও আন্দোলন সফল হতে পারে। তবে তিনি একইসঙ্গে স্বীকার করেন যে, বর্তমান সময়ে যুগপৎ আন্দোলনের জন্য সব দলের সঙ্গে সমন্বয় তৈরি হয়নি।
তিনি বলেন, এই একই দাবিতে আরও অনেক রাজনৈতিক দল মাঠে নামতে পারে। তবে এখনই একে যুগপৎ আন্দোলন বলা যাবে না। পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে ভবিষ্যতে সমন্বিত কর্মসূচির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন।
জামায়াতের এই নেতা জানান, জুলাইয়ের চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন দল ও সংগঠনের সঙ্গে তাদের আলোচনাও চলছে। এর মাধ্যমে একটি সমন্বিত রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা দেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
কর্মসূচি ঘোষণার সময় তিনি পিআর পদ্ধতির গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বলেন, এ ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হলে জনগণের ভোটের অধিকার আরও সুরক্ষিত হবে। জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য এটাই সময়োপযোগী পথ।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। তাই দলটির পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।