প্রকাশ: ৫ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৩
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মঙ্গলবার ৫ আগস্ট বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন। এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাচ্ছে বিএনপির একটি পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল, যার নেতৃত্বে থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকটি রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হয়ে চলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপির প্রতিনিধি দলে মহাসচিব ছাড়াও রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান এবং সালাহ উদ্দিন আহমদ। স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঐক্যবদ্ধভাবে জুলাই অভ্যুত্থানের মূল্যায়ন এবং নতুন রাজনৈতিক যাত্রার সূচনার লক্ষ্যে তারা এই অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন।
এই অনুষ্ঠান ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে একধরনের আলোচনার ঝড় বইছে। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসানের পর নতুন রাজনৈতিক পথচলার এই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে দেশের প্রায় সব গণতান্ত্রিক শক্তির উপস্থিতি প্রত্যাশিত।
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানান, অনুষ্ঠানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, এবং জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যান্য সক্রিয় রাজনৈতিক শক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি এই আয়োজনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সবাইকে দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এক মঞ্চে আসার আহ্বান জানান।
এদিকে একই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন হান্নান মাসউদ। কী কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে নানা গুঞ্জন।
৫ আগস্ট বিকেলের এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে দক্ষিণ প্লাজা ও আশপাশের এলাকায় নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আয়োজক সূত্র জানিয়েছে, নতুন যুগের রাজনৈতিক সূচনার এই ঘোষণা হবে সংবিধান পুনর্গঠনের রূপরেখা ও অন্তর্বর্তী রোডম্যাপের প্রথম ধাপ।
এ অনুষ্ঠান শুধু একটি ঘোষণাপত্র পাঠ নয়, বরং এটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের নতুন ইতিহাস লেখার সূচনালিপি।