প্রকাশ: ৫ আগস্ট ২০২৫, ১২:৮
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকার সম্পূর্ণ দখলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং সেখানে সামরিক অভিযান ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের কৌশলে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করছে। গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় শরণার্থী শিবিরগুলোতেও এখন কঠোর অভিযান চালানো হবে। নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজা দখলের ব্যাপারে কোনো দম না দিলে আইডিএফ চিফ অব স্টাফ পদত্যাগের মুখে পড়তে পারেন।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, গাজায় চলমান সামরিক অভিযানের সম্প্রসারণের বিষয়টি নিয়ে নেতানিয়াহু নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর আপত্তি উপেক্ষা করেছেন। তবে তিনি জোর দিয়েছেন, হামাসকে পরাজিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই সম্প্রসারণ পরিকল্পনার জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছেন বলে পত্রিকাগুলো দাবি করেছে। মার্কিন অনুমোদিত একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজার কিছু অংশ পুনরায় দখলের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়েছে।
আইডিএফের চিফ অব স্টাফ এয়াল জামিরের ওয়াশিংটন সফরও যুদ্ধবিরতির আলোচনার ব্যর্থতায় বাতিল হয়েছে। সামরিক অভিযানের চাপ বাড়ায় তিনি সফর স্থগিত করেছেন। অন্যদিকে, গাজায় জিম্মিদের মুক্তির জন্য ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার আলোচনা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েল প্রায় চূড়ান্ত অবস্থায় থাকা জিম্মি মুক্তি চুক্তি ত্যাগ করেছে।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি দেশের স্বার্থের চেয়ে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছেন। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই অভিযোগ নিয়ে সমালোচনা চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলি সিদ্ধান্ত ও যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধির কারণে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও সংকটময় হয়ে উঠেছে।
গাজায় চলমান এই সংঘাত বিশ্বমঞ্চে বিভিন্ন প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে। গাজায় সামরিক অভিযান আরও বাড়ানোর নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।