প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১২:৩৭
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নীলফামারী জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির উদ্যোগে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানের পর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী মন্তব্য করেন, আওয়ামী আমলের প্রশাসন দিয়ে দেশের সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে, কিন্তু প্রশাসন থেকে আওয়ামী ক্যাডারদের অপসারণ করা না হলে এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
রিজভী আরও বলেন, জনগণ এখনও আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির জন্য প্রস্তুত নয়। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য কার্যকর নয় এবং যারা এই পদ্ধতি দাবী করছেন, তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে জনগণের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তিনি এ প্রসঙ্গে সতর্কবার্তা দেন যে, সঠিক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য প্রশাসনের নিরপেক্ষতা অপরিহার্য।
তিনি আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের বিষয়েও কথা বলেন। রিজভী আশা প্রকাশ করেন, ডাকসু নির্বাচনে সব মতের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র প্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
রিজভী আরও উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা আবশ্যক। তিনি মনে করান, ছাত্র প্রতিনিধিরা যদি সংহতি ও ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে কাজ করেন, তাহলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনার মান উন্নত হয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা অপরিহার্য। তিনি আশ্বাস দেন, বিএনপি সর্বদা অবাধ ও ন্যায়সংগত নির্বাচনের জন্য তৎপর থাকবে এবং জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করবে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, রিজভীর এই মন্তব্য দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষতার ওপর গুরুত্বারোপ করছে। এ ধরনের বিবৃতি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দেবে এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ছাত্র নির্বাচনের গুরুত্ব বিবেচনা করে, রাজনৈতিক দলের বক্তব্য ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সমসাময়িক আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।