দেশপ্রেমের ফেরিওয়ালা আমরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার ১৫ই ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৪৫ অপরাহ্ন
দেশপ্রেমের ফেরিওয়ালা আমরা

লাল-সবুজের পতাকা। এর মূল্যায়ন অনেক, কিন্তু বিক্রিতে দাম কম। এই পতাকা লাখো রক্তের বিনিময়ে অর্জিত। এর মধ্যে দেশপ্রেম মিশে আছে। আমরা পতাকা নয়, দেশপ্রেম ফেরি করছি।


বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন লক্ষ্মীপুর শহরের অলিতে-গলিতে পতাকার ফেরিওয়ালা রাসেল, জামাল, ইউসুফসহ সাত যুবক। স্বাধীনতা দিবস ও বিজয়ের মাস আসলে প্রতিদিন লাল-সবুজের পতাকা হাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ অলিগলি হেঁটে বেড়ান তারা।


তারা বলেন, সংসার চালানোর জন্য পতাকা ফেরি করি না। পথে পথে ঘুরি দেশপ্রেম বিলিয়ে দিতে। মানুষ আমাকে দেখে নয়, পতাকা দেখে কাছে আসে। এটাই তো দেশপ্রেম। 


লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার চররুহিতা গ্রাম থেকে শহরে আসেন। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে হেঁটে উপজেলা পরিষদ, পৌর কার্যালয়, থানা এলাকা, প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঘুরে বেড়ান পতাকার এই ফেরিওয়ালারা।


তারা জানান, তাদের পরিবারের এক ভাইয়ের ঢাকায় পতাকা তৈরির কারখানা রয়েছে। বছরের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবসগুলোতে পতাকা এনে ব্যবসা করেন। তারা ৭ জন যুবক পতাকা নিয়ে জেলার ৫টি উপজেলায় কাঁধে ব্যাগ আর মাথায় গামছা বেঁধে হাতে লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ছাড়াও অলিগলিতে চষে বেড়ান।


তাদের মধ্যে একজন জামাল। তিনি বলেন, পতাকা দেখলে তরুণরাই বেশি কাছে ছুটে আসেন। ছবি তোলেন, এটা ভালো লাগে। কত মানুষের মোবাইলে আমার ছবি আছে। কিন্তু সবার কাছে আমাদের দেশের পতাকাই বেশি দামি, মূল্যবান। ১০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা দরে বিক্রি করছি এসব পতাকা।


জাতীয় দিবসগুলোতে পতাকার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তাদের উপস্থিতিও বেশি দেখা যায়। ডিসেম্বর মাসে কোনো কাজ না থাকায় বিজয়ের মাসে পতাকা বিক্রির পাশাপাশি সামান্য আয় করি। ৩০ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত বিজয়ের মাসে বেড়ে গেছে জাতীয় পতাকা ও শহীদ মিনারগুলোর কদর। বিজয় দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে শহীদ মিনারগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ।