বিজয়ের ৫০ বছরেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রাজাকার সন্তানদের অবস্থান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের দাবি যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠনসহ বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে, আজকে তাদের সন্তান আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছে এটা খুবই লজ্জাজনক।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মুক্তিযোদ্ধাদের এক সম্মাননা অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন তারা। সংরক্ষিত নারী আসনের (৩১৫, বরগুনা) সংসদ সদস্য সুলতানা নাদির ব্যক্তিগতভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন।
পাথরঘাটা সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবর রহমান বলেন, আমরা যুদ্ধ করেছি আর রাজাকাররা আমাদের ঘর বাড়ি পুড়িয়েছে। স্বজনদের হত্যা করেছে। যারা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও স্বজনদের হত্যা, বাড়িঘর জ্বালিয়েছে তাদের সন্তানেরা এখন আবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেয়। বিজয়ের ৫০ বছরে তাদের নেতৃত্ব মেনে নিতে হচ্ছে। এটা লজ্জা ও দুঃখজনক। আমরা এ জন্য দেশ স্বাধীন করিনি। আমরা রাজাকারদের সন্তানদের নেতৃত্ব দেখতে চাই না। অনুষ্ঠানে উপজেলার দুই শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।
পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত নারী আসনের (৩১৫, বরগুনা) সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা। এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ সাংবাদিক এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপজেলার এমপির পক্ষ থেকে ২২০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা ক্রেস্ট, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত একটি করে টাইলস, বিভিন্ন আইটেমের শুকনো খাবার দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত: বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রহমান রিমনের বাবা মো. খলিলুর রহমান চিহ্নিত রাজাকার ছিলেন। এ নিয়ে ওই আসনের মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।