৭০ এ পা রাখল বায়ান্ন'র একুশ। ভাষার প্রতি সেই ভালোবাসার সিঁড়ি বেয়ে আসে একটি পতাকা, স্বাধীনতা আর একটি মানচিত্র। সাত দশকে কেমন আছে মায়ের সেই ভাষা ? বায়ান্ন থেকে বাইশ, বৈশ্বিকতার ডামাডোলে ভাষায় মিশ্রতা এলেও প্রজন্মের হাতেই বেঁচে থাকছে প্রত্যাশা।
প্রভাতফেরীর গল্পে আলতাফ মাহমুদের সুর যেন কালজয়ী, তবে কালকে কতোটা জয় করতে পেরেছে কোনো এক ফাল্গুনে ছিনিয়ে আনা সে মায়ের ভাষা? প্রজন্মের চেতনায় একুশের অভিব্যক্তি যখন ভিন্ন ভাষার মিশ্রতায়।
সাত দশকের পট পরিবর্তনে রক্তে কেনা ভাষাও যখন ভাসছে বৈশ্বিকতায়। তখন বাংলার আবেগ ছুঁয়েছে পরদেশী মনকেও। শুদ্ধতার রঙে তারাও শিখতে চায়, বলতেও চায়।
বায়ান্ন'র ফাল্গুন যখন বারুদসম রক্তের প্রলেপ, বাইশের ফাল্গুন তখন যেন বেশ উদাসীন সাদাকালোর পঙ্কতিমালায়। প্রজন্ম তবুও আশা জাগায়। আশা জাগানিয়া এমন জিয়নকাঠিতে ভাষা থাকুক ভালোবাসায়।
একুশ এলেই সাদাকালো পঙ্কতিমালা খুঁজে পায় ৫২'র সেই কৃষ্ণচুড়া রঙ। সেই রঙ কি প্রতিটি দিনেই রঙিন? নাকি কেবলই একদিনের উদযাপন উপলক্ষ্য?
তাই সাধারণের প্রত্যাশা, প্রাণের স্পন্দনে লালিত হোক ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।