ছাত্রের হাতে শিক্ষক হত্যার ঘটনায় উত্তপ্ত হচ্ছে এ অঞ্চলের শিক্ষাঙ্গন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নেছার উদ্দিন খান, স্টাফ রিপোর্টার, সাভার:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৮শে জুন ২০২২ ০৩:০৩ অপরাহ্ন
ছাত্রের হাতে শিক্ষক হত্যার ঘটনায় উত্তপ্ত হচ্ছে এ অঞ্চলের শিক্ষাঙ্গন

ছাত্রের হাতে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সাভারে শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা খুনি বখাটে ছাত্র জিতুর গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এ অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।


মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকালে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুছ আলী স্কুল এন্ড কলেজের পাশে থাকা আরও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামে। এছাড়া একই সময় সাভার উপজেলা পরিষদের সামনে আন্দোলন করেন সাভার ও আশুলিয়া স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ। 


আন্দোলনরত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মামলার প্রধান আসামীকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারসহ ৬ দফা দাবি করেন। এছাড়া দাবি আদায়ে স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করতে বিক্ষোভ র‍্যালীসহ গণসংযোগ করছেন তারা। 


শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, মামলার প্রধান আসামীকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার, অজ্ঞাতনামা আসামীদের গ্রেফতার, প্রধান আসামী ওই ছাত্রের পলাতক পরিবারের সদস্যদের আইনের আওতায় আনা, নিহতের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্থানীয় ও বাইরের শিক্ষার্থীদের মধ্যকার ভেদাভেদ দূর করতে আইন প্রণয়ন এবং কিশোর গ্যাং ও কিশোর অপরাধ দূর করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ।  


এসময় শিক্ষক শিক্ষার্থীরা হাজী ইউনুছ আলী স্কুল এন্ড কলেজের সামনে 'আমরা ন্যায় বিচার চাই', 'শিক্ষক হত্যার বিচার চাই', 'কিশোর অপরাধ দমন হোক', 'হত্যাকারীর ফাসি চাই', 'শিশু বলে ছাড় পাবে কেন মস্ত অপরাধ যুবক হলে এরাই গড়ে দূর্নীতির বাঁধ' স্লোগান সম্বলিত পোস্টার হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন। 


মিছিল নিয়ে তারা স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দাবি আদায়ে তাদের সাথে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করার লক্ষে গণসংযোগ করেন। 


দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. আবু মুসা বলেন, শুনেছি এর আগেও জিতু বাসার সামনে একজনকে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়েছিলো। শিক্ষককে যে এভাবে মারতে পারে সে তো আমাদেরকেও মেরে ফেলতে পারে। উৎপল স্যার খুবই ভালো একজন মানুষ ছিলেন। তিনি আমাদের গুরুজন। তাকে হত্যা করা হলো কিন্তু  অপরাধীরা এখনো গ্রেফতার হলোনা। আমরা চাই দ্রুত তাকে (ওই ছাত্রকে) গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। 


মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. এমদাদুল হক বলেন, বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গূরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। আসামীকে গ্রেফতার করতে সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালানো হচ্ছে৷ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরিদশর্ক (কলেজ) মোঃ রবিউল আলম বলেন, আমরা আজ চেয়ারম্যান স্যারের নির্দেশে। প্রতিষ্ঠানটিতে ঘটে জাওয়া বিষয়ে পর্যবেক্ষন করতে এসেছিলাম। এই ঘটনায় মামলাও হয়েছে আমরা আশা করছি দ্রুত আসামি গ্রেফতার হবে।