শাকিল হত্যা মামলায় এক আসামির জামিন; আতংকে পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: বুধবার ২৩শে নভেম্বর ২০২২ ০৮:৪৪ অপরাহ্ন
শাকিল হত্যা মামলায় এক আসামির জামিন; আতংকে পরিবার

ঠাকুরগাঁওয়ের আলোচিত শাকিল হত্যা মামলার দুই নাম্বার আসামী দেলোয়ার হোসেনকে জামিন দিয়েছে আদালত। 


বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মামুনুর রশীদ এই জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। 


বিষয়টি বাদীপক্ষের আইনজীবি এ্যাড. সৈয়দ আলম নিশ্চিত করেছেন। 


তিনি বলেন, জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ভানোর ইউনিয়নের মৎসজীবি লীগের সভাপতি শাকিল আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও দুই নাম্বার আসামী দেলোয়ার হোসেন জামিনের আবেদন করলে মহামান্য আদালত দেলোয়ার হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন আর প্রধান আসামী রফিকুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করে পুনরায় জামিনের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য্য করেছেন। 


এদিকে দুই নাম্বার আসামীর জামিনে আতংকে রয়েছে শাকিলের পরিবার। 


এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) প্রায় দুই শতাধিক লোকের শোডাউন নিয়ে আদালতে আত্মসমার্পন করে জামিন চাইতে গেলে জামিন না মঞ্জুর করে মামালার প্রধান আসামী রফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। চেয়ারম্যানকে কারাগারে নেওয়ার সময় আদালতে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা ছবি তুলতে গেলে সংবাদকর্মীদের উপর হামলার চেষ্টা করেন তার ভাড়াটে লোকজন। 


আদালত চত্বরে হত্যা মামলার প্রধান আসামীর দুইশতাধিক লোকের শোডাউন ও সাংবাদিকদের উপর হামলার চেষ্টায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলার বিশিষ্টজনরা জানান, আদালত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সেখানে একজন হত্যার মামলার প্রধান আসামীর সাথে এতো লোকজন কিভাবে শোডাউন দিয়ে আদালত চত্বরে কিভাবে প্রবেশ করল? 


আদালতের বারান্দায় সন্ত্রাসীদের এমন ঘটনা সত্যিই হতাশজনক। দায়িত্বরত পুলিশ-প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারে না। সাংবাদিকদের সাথে সন্ত্রাসীরা কেন এমন মারমুখী আচরণ করল? অবশ্যই প্রশাসন এর জবাব দিবেন। আর বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান তারা। 


উল্লেখঃ গত ০৩ সেপ্টেম্বর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের হলদিবাড়ী বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা সাঈদ আলম দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সাঈদ আলমের ভাই মৎসজীবিলীগ নেতা শাকিল আহমেদ মারা যায়। পরে বালিয়াডাঙ্গী থানায় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ ২০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যুবলীগ নেতা সাঈদ আলম। সেই মামলায় আটজনকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।