দাম বেড়েছে মাছ-মাংসের। তবে, স্বস্তি মিলেছে শীতকালীন শাক-সবজিতে।শাক-সবজিতে সয়লাব রাজধানীর বাজার। যোগান পর্যাপ্ত থাকায় দাম বাড়েনি তেমন। এছাড়া মুদি মালামাল ও মশলার বাজারদর প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানী মহাখালী, কারওয়ান বাজার এবং ভ্রামমাণ সবজির বাজারগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এসব বাজারে ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগেও যা ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ৬০-৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
অন্যদিকে, শীতকালীন অন্যতম সবজি শিমের দাম কমেছে। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। মৌসুমের শুরুতেও যা ১২০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া পেঁপে প্রতি কেজি ২০-২৫ টাকা, বেগুন ধরণভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা আকার-আকৃতি ভেদে ৬০ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পুরোনো আলু ১০-১৫ টাকা এবং নতুন আলু বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে।
জানতে চাইলে মহাখালী কাঁচা বাজার এলাকার পাইকারি সবজি বিক্রেতা ওয়াহাব আলী বলেন, শীতকালীন সবজির ব্যাপক চাহিদা আছে বাজারে। উত্তরবঙ্গ থেকে আসার কারণে যোগানও আছে প্রচুর।কারওয়ান বাজার এলাকার খুচরা সবজি বিক্রেতা রহিমা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের পণ্য সংরক্ষণ করতে না পারায় অনেক সময় অবিক্রিত পণ্য পঁচে যায়। তবে, এখন চাহিদা ভালো। বিকিকিনি কেমন হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিদিন ১০-১৫ হাজার টাকার শাক-সবজি বিক্রি হয়।
এদিকে, শসা প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকা, গাজর ৪৫-৫০, চিচিঙ্গা ও ধুন্দল ৪৫-৫০ টাকা এবং আকৃতিভেদে প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়।কারওয়ান বাজারে কেনাকাটা করছিলেন আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, মাছ-মাংসের দামটা একটু বেশি। তবে, শাক-সবজির দাম কম আছে। ফ্যামিলির সবাই সবজি পছন্দ করে তাই বেশি করে নিয়েছি।
অন্যদিকে, পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায়। রকমভেদে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া ভালো মানের আদা ও রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
মাছ মাংসের বাজার-
বাজারে মাছের দাম বেড়েছে। চাষ করা কই, তেলাপিয়া, পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। রকমভেদে রুই, কাতলা কার্পজাতীয় মাছ ২৭০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রায় অপরিবর্তিত ছিল অন্যান্য মাছের দাম।
মাছ বাজারে কথা হয় ক্রেতা শেখ ফরিদের সঙ্গে। বেসরকারি চাকরিজীবী ফরিদ বলেন, মাছ-মাংসের দাম একটু বেশি। আমি প্রতি কেজি রুই মাছ কিনেছি ২৯০ টাকা করে। মাছ-মাংসের বাজার একটু তদারকি করা গেলে নিয়ন্ত্রণে থাকতো আরও।
বাজারে গরুর মাংস হাড়সহ ৬৫০-৭০০, হাড়ছাড়া ৭৫০-৮০০ টাকা কেজি। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০-১০০০ টাকায়। আর ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-৪৫ টাকায়, ডিম প্রতি ডজন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া, মুদি মালামালের মধ্যে আটা ৬০ টাকা, ময়দা ৬৫টাকা কেজি ও সয়াবিন তেল ১৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।