ঘোড়াঘাটে চলচ্চিত্র 'মুজিব' দেখতে সিমেনা হলে উৎসবমুখর পরিবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, নিজস্ব প্রতিনিধি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: শুক্রবার ১৩ই অক্টোবর ২০২৩ ০৭:১৩ অপরাহ্ন
ঘোড়াঘাটে চলচ্চিত্র 'মুজিব' দেখতে সিমেনা হলে উৎসবমুখর পরিবেশ

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত ‘মুজিব' একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র দেখতে সিনেমা হলে সরকারী কর্মকর্তা, আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সহ সাধারণ মানুষের উপস্থিতি মিলন মেলায় রুপ নিয়েছে।


বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যৌথ প্রযোজিত সিনেমাটি দীর্ঘদিন প্রচার প্রচারণা ও প্রিমিয়ার শো শেষে শুক্রবার একযোগে সারা দেশের ১৫৩টি প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পেয়েছে।


শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ২ টা ৪৫ মিনিটে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সোনালী সিনেমা হলে চলচ্চিত্রটি প্রচারিত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত ছবিটি দেখতে জুম্মার নামাজের পর থেকে সেখানে ভীড় জমায় আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সহ সাধারণ মানুষ।


এরপর সিনেমা হলে স্বপরিবারে উপস্থিত হন ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান এবং ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ সহ স্থানীয় প্রশাসন ও থানা পুলিশের কর্মকর্তারা।


চলতি বছরের ৩১ জুলাই দুই দেশের সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পায় চলচ্চিত্রটি। এই চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে দেখা গিয়েছে আরিফিন শুভ এবং শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের চরিত্রে দেখা গিয়েছে নুসরাত ইমরোজ তিশাকে। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে দেখা গিয়েছে করেছেন নুসরাত ফারিয়াকে।


প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি দেখতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী তানজিমুর রহমান বলেন, জাতির পিতার জীবনী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে তার অবদান সম্পর্কে পাঠ্য বইয়ে অনেক কিছুই পড়েছি। তবে আজ তার প্রতিবিম্ব দেখলাম। মনে হলো আমি শত বছর আগে ফিরে গিয়ে তার জীবনী এবং বাংলাদেশের ইতিহাস দেখে আসলাম।


চলচ্চিত্রটি দেখা শেষে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) রফিকুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতার একেবারে ছোটবেলা থেকে বেড়ে ওঠা এবং একটি দেশের স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত সব কিছু ফুটে উঠেছে এই বায়োপিকে। চলচ্চিত্রটি একটি ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে।