পিরোজপুরের সুস্বাদু আমড়ার দেশজুড়ে খ্যাতি রয়েছে। বর্ষা মৌসুমের এই ফলটি স্থানীয় বহু মানুষের আয়ের অন্যতম উৎস। এ জেলার উৎপাদিত আমড়া শুধু ঢাকা নয় দেশের প্রায় সব জেলায় সরবরাহ করা হয়। দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলছে।
আমড়া ব্যবসায়ীরা বলছে, পদ্মা সেতু চালুর ফলে রাজধানীর সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে। সেই সাথে টাটকা ফলমুল ৩ থেকে ৪ ঘন্টার ব্যবধানে পৌছে যাচ্ছে ঢাকা সহ বড় বড় শহরগুলোতে। আর এতে ভালো লাভ হচ্ছেন আমড়া চাষি ও ব্যাপারীরা।
দক্ষিনের জেলা পিরোজপুরের আবহাওয়া ও জলবায়ূ আমড়া চাষের উপযোগী। ফলে আমড়ার উৎপাদনও হয় বেশ ভালো। এখানকার আমড়া আকারে অনেকটা বড়, খেতেও বেশ সুস্বাদু। মান বেধে প্রতিটি গাছের ফল বিক্রি হয় ৩ থেকে ৬ হাজার টাকায়। অন্যদিকে তেমন কোনো পরিচর্যা ও সার কিটনাশক ছাড়াই এর ফলন পাওয়া যায়। মৌসুমে বাজার ছাড়াও পথে পথে প্রচুর বিক্রি হয় আমড়া। আমড়া অর্থকরী ফল হিসেবেও নিজের জায়গা করে নিয়েছে এই জেলায়। ফলে আমড়া চাষে কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলছে। বেড়ে গেছে চাষ ও উৎপাদন।
এদিকে গত বছর পদ্মা সেতু চালুর পর থেকেই বরিশাল অঞ্চলের কৃষিপণ্য সরবরাহে সহজলভ্যতা সৃষ্টি হয়েছে। খুব অল্প সময়ে টাটকা কৃষি পৌছে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। এতে ভালো লাভবান হচ্ছেন পিরোজপুরের ব্যবসায়ীরা।
জেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, পিরোজপুর জেলার সাতটি উপজেলায় পিরোজপুর সদর, কাউখালী, নেছারাবাদ, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, ভান্ডারিয়া ও মঠবাড়িযায় এবছর ৫০৯ হেঃ জমিতে আমড়ার উৎপাদন হয়েছে ১০ হাজার ৯১১ মেঃ টন। কৃষি অফিসের দাবি সামনের বছর আমড়ার ফলন আরো বেড়ে যাবে,সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।