প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৮
পটুয়াখালী জেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থানীয় সালিশ, দাঙ্গা-ফ্যাসাদ বা পক্ষপাতদুষ্ট মধ্যস্থতাকারী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত না থাকার নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মজিবুর রহমান টোটন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামী সংগঠন। দলের প্রতিটি কর্মী জনগণের আস্থার প্রতীক এবং আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রণী সৈনিক। তাই দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখা এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে নেতাকর্মীদের নির্দিষ্ট এই নির্দেশ দেওয়া হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কোনো নেতাকর্মী স্থানীয়ভাবে কোনো প্রকার সালিশ, দাঙ্গা-ফ্যাসাদ বা পক্ষপাতদুষ্ট মধ্যস্থতাকারী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হলে তা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া সাংগঠনিক বিধি অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নেতাকর্মীদের কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচি, সাংগঠনিক দায়িত্ব এবং জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত থাকতে হবে। জনগণের সঙ্গে তাদের আচরণ সর্বদা ভদ্র, অমায়িক এবং হাস্যোজ্জ্বল হতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জনগণ দলের শক্তি এবং আন্দোলনের মূলভিত্তি। তাই নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে থেকে দায়িত্বশীল, মানবিক এবং সহমর্মী আচরণ প্রদর্শন করবেন।
দলীয় ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করতে সকল নেতাকর্মীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই নির্দেশনা জেলা ও অঙ্গসংগঠন পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিএনপির নেতাকর্মী এবং সচেতন মহল এ পদক্ষেপের প্রশংসা জানিয়েছেন।
সংবাদ অনুযায়ী, নেতাকর্মীদের দায়িত্ব পালন কেবল নীতিমালা অনুসারে নয়, বরং জনগণের আস্থা ও দলের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী, সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে সরাসরি জনগণের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে এবং যে কোনো প্রকার অপ্রয়োজনীয় সংঘাত এড়িয়ে চলতে হবে।
এভাবে জেলা বিএনপি স্থানীয় পর্যায়ে শৃঙ্খলা বজায় রেখে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এবং জনগণের আস্থা অর্জনে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এতে দলের ভাবমূর্তিকে দীর্ঘমেয়াদে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্য প্রতিফলিত হচ্ছে।