রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তুষার শেখ (১৮) নামের এক কিশোর খুন হয়েছে।
নিহত তুষার শেখ গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বিশ্বনাথ পাড়া গ্রামের মোঃ আসলাম শেখের ছেলে। শনিবার সকাল সারে ৯ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। তুষার শেখ গোয়ালন্দ নাজির উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্র।
গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত চাচাতো ভাই বাঁধন শেখ এবং তার মা ফেরদৌসী আক্তারকে গ্রেফতার করেছে।
আসামী বাঁধনের বাবার নাম পলাশ শেখ। পলাশ শেখ ও আসলাম শেখ আপন দুই ভাই।
নিহত তুষারের বড় চাচা আবুল হোসেন, চাচাতো ভাই শারাফাত হোসেন শাকিবসহ স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, তার ছোট দুই ভাই পলাশ ও আসলামের মধ্যে পারিবারিক জমিজমা নিয়ে কিছু বিরোধ ছিল। আমরা সম্প্রতি তাদরর মধ্যে ভাগবাটোয়া করে আলাদা আলাদা করে জমিজমা বুঝিয়ে দিয়েছি।
আজ (শনিবার) সকাল ৯ টার দিকে পলাশ তার বাড়ি কবিরাজের মাধ্যমে (বন্ধ) দিতে (ফকির দ্বারা বিশেষ তাবিজ করা) বাড়িতে ফকির ডেকে আনে। এ সময় আসলাম বাঁধা দিয়ে ফকিরকে ডেকে রাস্তার উপর নিয়ে আসে এবং চেয়ারম্যান -মেম্বার না আসা পর্যন্ত বাড়ি বন্ধের কাজ বন্ধ রাখতে বলে। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে কথা কাটাাকাটি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে পলাশ (৪২), তার স্ত্রী ফেরদৌসী (৩৫) ও ছেলে বাঁধন (১৭) ঘর থেকে ছুরি-বটি নিয়ে এসে আসলামের পরিবারের উপর এলোপাথারী ভাবে হামলা চালায়। হামলার এক পর্যায়ে বাঁধন তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে তুষারের গলায়, পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্হানে আঘাত করে।
এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।স্হানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে অটোরিক্সা যোগে ফরিদপুর সদর হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু পথিমধ্যেই সে মারা যায়। লাশ বর্তমানে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে রয়েছে। হামলার ঘটনায় নিহত তুষারের বাবা আসলাম শেখও রক্তাক্ত জখম হয়েছেন এবং মানষিক ভাবে সে ভেঙ্গে পড়েছে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই মামুন জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। স্হানীয় জনতা অভিযুক্ত বাঁধন ও তার মা ফেরদৌসী আক্তারকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের কে গ্রেফতার করি। অপর অভিযুক্ত আসামী পলাশ শেখ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
