পটুয়াখালীতে নার্সিং শিক্ষার্থী ও এম্বুলেন্স ড্রাইভারদের মধ্যে মারামারি

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, একটি বকুল গাছ থেকে চড়ুই পাখি ধরাকে কেন্দ্র করে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে এম্বুলেন্স ড্রাইভার রাহাত ও তার কয়েকজন সহযোগীর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ১০-১২ জন ড্রাইভার মিলে সাইফুলকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন, যা দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় একদল শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করলে একটি এম্বুলেন্সের গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

এ ঘটনার পর আহত সাইফুল ইসলাম পটুয়াখালী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগটি গ্রহণ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয়রা জানান, এই ধরণের সহিংস ঘটনা হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরি করছে।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের পরিবেশ যেন অশান্ত না হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এই ঘটনার পর নার্সিং শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানান। অন্যদিকে, এম্বুলেন্স ড্রাইভাররা অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেদের সুরক্ষার জন্যও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের সহিংস ঘটনা এড়াতে হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকা জরুরি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এ ঘটনায় এখনও কোনো গ্রেপ্তার বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে পুলিশ বলছে, তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।