প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫, ১৭:২৬
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে আহত নাসির উদ্দীনের মৃত্যুর ঘটনায় আবারও উত্তপ্ত সীমান্ত জনপদ। শ্যামকুড় “চেয়ারম্যান ঘাট” এলাকায় ১৭ মে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ছররা গুলিতে গুরুতর আহত হন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত নাসির উদ্দীন শ্যামকুড় পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা এবং পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন। সীমান্তে গমনের সময় ভারতের পাখিউড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে ছররা গুলি ছোঁড়ে।
এ সময় একই সঙ্গে আহত হন আরও দুইজন—বর্ডার রিপন ও সোহাগ নামে দু’জন যুবক। তারা গোপনে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও নাসির রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার ভোরে মৃত্যুবরণ করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম নাসিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হলেও তারা মুখ খুলছেন না।
নিহতের চাচা ও সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহানুর জানান, ভাতিজার মৃত্যুর খবর সত্য হলেও কীভাবে মারা গেছেন সে বিষয়ে পরিবার কিছু জানায়নি। শুক্রবার জুমার নামাজের পর নাসিরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ও প্রতিবেশিদের অনেকে জানিয়েছেন, ঘটনাটি নিয়ে পরিবার চাপা থাকলেও এলাকায় আলোচনা চলছে যে, বিএসএফ’র গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা আক্তার বলেন, বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন এবং খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।
এদিকে মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম জানান, তিনি সীমান্তে টহল দল পাঠিয়েছেন, তবে পরিবার বিএসএফ’র বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি। এর আগে একই সীমান্তে দুই বাংলাদেশী নিহত হলেও এখনও তাদের লাশ ফেরত মেলেনি, যা নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।