প্রকাশ: ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৪৮
কক্সবাজারের টেকনাফে একটি মিনি ট্রাকের দুর্ঘটনায় ২৫ বছর বয়সী রোহিঙ্গা শ্রমিক এবাদুল্লাহ নিহত হয়েছেন। রোববার দুপুর ১২ টায় হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তুলা তুলি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও চারজন, যাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উখিয়া উপজেলার পালংখালী থেকে বালি ভর্তি একটি মিনি ট্রাক টেকনাফের পথে চলছিল। ট্রাকটি তুলাতুলির একটি বাঁকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনাস্থলেই রোহিঙ্গা শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে এবং চালক ও সহকারীসহ চারজন গুরুতর আহত হন। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক নুরুল আবছার জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
টেকনাফ এলাকায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে সড়ক দুর্ঘটনা একটি উদ্বেগজনক বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই অঞ্চলে চলাচলরত ভারী যানবাহন ও যানজটের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি বারবার সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটার কারণে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সড়ক নিরাপত্তা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
স্থানীয়দের মধ্যে নিরাপদ সড়কের দাবী বাড়ছে। তারা বলছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়ক অবকাঠামো উন্নত করতে হবে এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা চালাতে হবে।
এদিকে, নিহতের পরিবারের প্রতি এলাকাবাসী সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন। তারা আশা করছেন, প্রশাসন দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করে ভবিষ্যতে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
টেকনাফের সড়ক দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে যাতে সড়ক দুর্ঘটনার হার কমানো যায়। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা গেলে স্থানীয় মানুষের জীবন ঝুঁকিমুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই দুর্ঘটনার মাধ্যমে টেকনাফে সড়ক নিরাপত্তার প্রতি সবাইকে আরও সচেতন হওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়েছে। সকলের সহযোগিতায় একটি নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থার জন্য কাজ চালিয়ে যেতে হবে।