রহমতপুর ইউনিয়ন: ভিডিও ছড়ালেও প্রমাণ মিলল না ঘুষের

জানা যায়, বরিশাল সদরে কর্মরত থাকা অবস্থায়ও ওই চক্র একাধিকবার তহশিলদার মোঃ জহিরুল ইসলামের কাছে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তখন থেকেই তাকে লক্ষ্য করে ষড়যন্ত্রের জাল বোনা শুরু করে। রহমতপুর তহশিল অফিসে ২২ মে যোগদানের পর ২৫ মে দুপুরে দুই ব্যক্তি জমির খাজনা দিতে এসে ভিডিও ধারণ করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেয়।

ভিডিওতে ঘুষ বা লেনদেনের কোনো দৃশ্য না থাকলেও চক্রান্তকারী মহলটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিষয়টিকে বিকৃত করে প্রচার করে। ঘটনাস্থলে থাকা দুলাল আমিন ও তারিকুল ইসলাম নিজেরাই স্বীকার করেছেন, তারা শুধু খাজনা পরিশোধ করতে এসেছিলেন, এবং কোনো আর্থিক লেনদেন তহশিলদারের সঙ্গে হয়নি। বরিশাল থেকে আসা অপরিচিত দুই ব্যক্তি ভিডিও ধারণ করে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দেন।

এ বিষয়ে রহমতপুর ভূমি অফিসের কর্মীরা জানান, তহশিলদার মোঃ জহিরুল ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নিয়ম-নীতির মধ্যে থেকে জনগণকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তার পেশাদারিত্ব এবং সৎ অবস্থানের কারণে সাধারণ মানুষের প্রশংসা পেয়েছেন। ফলে একটি চক্র তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে অপপ্রচারে লিপ্ত।

সচেতন স্থানীয়রা মনে করছেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ কেবল ব্যক্তিগত মানহানিই নয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিও নষ্ট করে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, সত্য উদঘাটন ও অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।