প্রকাশ: ১ আগস্ট ২০২৫, ২১:৫৫
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার শব্দমিয়া পাড়ায় নারী উন্নয়নের এক ব্যতিক্রমী চিত্র দেখা গেছে। পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে ৫০ জন দরিদ্র নারীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ছাগল, হাঁস ও মুরগি। তাদের চোখে মুখে ছিল উচ্ছ্বাস, স্বপ্ন আর সম্ভাবনার নতুন প্রতিচ্ছবি।
শুক্রবার (১ আগস্ট) স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা। তিনি বলেন, “এটা শুধু পশু পাখি বিতরণ নয়, বরং নারীদের আত্মবিশ্বাস ও অর্থনৈতিক মুক্তির একটি যাত্রা।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তারা প্রত্যেকে এই উদ্যোগকে নারীর ক্ষমতায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন।
উপকারভোগী নারীদের অনেকেই জানান, এতদিন তারা কর্মসংস্থানের কোন বাস্তব সুযোগ পাননি। এই সহায়তা তাদের আত্মনির্ভরশীল হতে সাহস জোগাবে। একজন উপকারভোগী বলেন, “আমরা ঘরেই এখন হাঁস-মুরগি পালন করে রোজগার করতে পারব, ছেলে-মেয়ের পড়ালেখা চালিয়ে নিতে পারব।”
জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিটি পরিবারকে একটি করে ছাগল, পাঁচটি করে হাঁস ও দশটি করে মুরগি সরবরাহ করা হয়েছে। এগুলোর চিকিৎসা ও খাবার সংক্রান্ত মৌলিক প্রশিক্ষণও প্রদান করা হয়েছে যাতে নারীরা দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকতে পারেন।
এমন মানবিক সহায়তা পেয়ে খুশি স্থানীয় জনগণ। তারা মনে করছেন, যদি এই ধরণের প্রকল্প অব্যাহত থাকে তবে এলাকার বহু নারী পরিবার ও সমাজে তাদের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করতে পারবেন।
নারীর ক্ষমতায়নে এই উদ্যোগ যেন এখানেই থেমে না যায়, সে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। তারা বলেন, ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এমন কর্মসূচি চালানো গেলে গোটা খাগড়াছড়ি জেলায় নারীদের উন্নয়ন একটি দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামীতেও তৃণমূল পর্যায়ের নারীদের পাশে থাকার জন্য এমন কার্যক্রম আরও জোরালোভাবে চলমান থাকবে।