প্রকাশ: ১ আগস্ট ২০২৫, ২১:৫৬
মার্কিন বাজারে পাল্টা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ২০ শতাংশ হওয়াকে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির জন্য স্বস্তিদায়ক মনে করছেন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। তিনি মনে করেন, এই পরিবর্তনের ফলে রপ্তানিকারকরা নতুন করে ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ পাবে এবং মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব হবে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) এক লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গত কয়েক মাস ধরেই পাল্টা শুল্ক নিয়ে একটি অনিশ্চয়তা চলছিল। এতে করে রপ্তানিকারকরা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় দ্বিধায় ছিলেন। এখন শুল্ক কমার কারণে সে অনিশ্চয়তা অনেকটাই দূর হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি জানান, যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পণ্যের ওপর এখনো ৩০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক বিদ্যমান এবং শিগগিরই সে দেশের চূড়ান্ত শুল্কহার ঘোষণা করবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রাথমিক আভাসে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের তুলনায় চীনের ওপর শুল্কহার বেশি থাকবে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিবাচক দিক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি হলেও বাস্তবায়নের জন্য জ্বালানির সরবরাহ, বন্দর সক্ষমতা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় দেশের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করেছে।
পাল্টা শুল্কের কারণে ব্যবসায় সাময়িক ধাক্কা লাগার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেননি তিনি। কারণ মার্কিন ক্রেতাদের এখন পণ্য কিনতে অতিরিক্ত খরচ করতে হবে, যা তাদের বাজেট ও পরিকল্পনায় প্রভাব ফেলতে পারে। এতে অর্ডার কমে যেতে পারে এবং দাম বৃদ্ধির ফলে বিক্রয়েও প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে তিনি স্পষ্ট করে দেন, এই বাড়তি শুল্ক রপ্তানিকারকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। এটি আমদানিকারক ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকেই বহন করতে হবে। অতীতে কিছু ক্ষেত্রে ক্রেতারা শুল্কের বোঝা সরবরাহকারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও এবার বিজিএমইএ সদস্যদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, শেষ পর্যন্ত এই শুল্কের চাপ যাবে মার্কিন ভোক্তাদের ঘাড়ে। ফলে ক্রয়ক্ষমতা ও বাজার চাহিদার ওপর শুল্কের একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মাহমুদ হাসান খান বিজিএমইএ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন আত্মবিশ্বাস ও সতর্কতা বজায় রেখে রপ্তানিমুখী কর্মকাণ্ডে আরও মনোনিবেশ করেন এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতির আলোকে নিজেদের প্রস্তুত রাখেন।