প্রকাশ: ৯ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৫৪
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যা এবং সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনকে সন্ত্রাসীদের হাতে আহত করার প্রতিবাদে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় পৌর শহরের তিনমাথা এলাকায় পাঁচবিবি প্রেসক্লাবের আয়োজনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে পাঁচবিবি প্রেসক্লাব ও পৌর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা একত্রিত হয়ে হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পাঁচবিবি প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক আলহাজ্ব আজাদ আলী। এতে বক্তব্য রাখেন পৌর প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক আহসান হাবিব, পাঁচবিবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই ও আব্দুল হালিম সাবু এবং দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের জেলা প্রতিনিধি সাজেদুর রহমান সাজু। বক্তারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের বর্বর হামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য বড় হুমকি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাঁচবিবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সজল কুমার দাস, সাংবাদিক দুলাল অধিকারী, চৌধুরী, নির্মল রায়, পৌর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম দুলাল, মোহনা টিভির প্রতিনিধি আকতার হোসেন বকুল, পাঁচবিবি প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য সুমন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, সাংবাদিক দবিরুল ইসলাম লিটন, দৈনিক আমাদের সময়ের প্রতিনিধি উল্লাস হাজরা, পৌর প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক মোস্তাকিন হোসেন, দৈনিক দেশমার প্রতিনিধি বাবুল হোসেন, দৈনিক কালবেলার পাঁচবিবি প্রতিনিধি আল কারিয়া, পৌর প্রেসক্লাবের সদস্য মতিয়ার রহমান, সাইদুর রহমান, সাকিব ইসলামসহ অনেকে।
সভাপতি আজাদ আলী বলেন, তুহিন হত্যাসহ সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা দেশের গণমাধ্যমের জন্য এক আতঙ্কের বার্তা। যারা এসব ঘটনার সাথে জড়িত, তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার করতে হবে।
পৌর প্রেসক্লাবের সভাপতি আহসান হাবিব তার বক্তব্যে আরও কড়া অবস্থান জানান। তিনি বলেন, তুহিন হত্যায় যারা জড়িত তাদের বিচার ট্রায়ালের মাধ্যমে নয়, বরং ক্রসফায়ারের মাধ্যমে দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে। নইলে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটবে এবং অপরাধীরা আরও সাহসী হয়ে উঠবে।
তিনি সাগর-রুনি হত্যার উদাহরণ টেনে বলেন, বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও অনেক হত্যাকাণ্ডের বিচার দীর্ঘসূত্রিতার ফাঁদে আটকে থাকে। তদন্ত আর ট্রায়ালের নামে মামলাগুলো ঝুলে থাকে, যা বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা নষ্ট করে।
বক্তারা একসঙ্গে ঘোষণা দেন যে, তুহিন হত্যার মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। তারা এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করে বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
এই মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে পাঁচবিবির সাংবাদিকরা প্রমাণ করেছেন যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদই পারে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে।