প্রকাশ: ৯ আগস্ট ২০২৫, ১৬:১৭
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে নিজ বসতঘর থেকে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
নিহত যুবকের নাম আব্দুর রাহিম রাফি (২৮)। তিনি মৃত আব্দুস সত্তারের ছেলে এবং মুন্সীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বারের ভাতিজা। রাফি রহিমপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, সকালে রাফি ঘুম থেকে না উঠায় তারা ঘরে ডাকতে যান। এ সময় তারা খাটের ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। ঘটনাটি মুহূর্তেই আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রতিবেশীরা ভিড় জমায়।
খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাহিদ আহমেদ তরফদার বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছি। তবে কে বা কারা, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি।
স্থানীয়দের অনেকে জানান, রাফি শান্ত স্বভাবের ছিলেন এবং এলাকায় পরিচিত মুখ। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর সঙ্গে কারও বিরোধের খবর শোনা যায়নি, যা ঘটনাটিকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামিম আকনজি বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছি। প্রাথমিকভাবে হত্যার কারণ জানা যায়নি। তবে ঘটনার পেছনের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে।
এ হত্যাকাণ্ডে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ঘটনার পেছনের আসল কারণ অজানাই থেকে যাচ্ছে।