প্রকাশ: ৯ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৪৬
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
মৌলভীবাজারে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ড এবং সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের আয়োজনে ৯ আগস্ট চৌমোহনা চত্বরে এই সভার আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। সভার উদ্দেশ্য ছিল খুন ও সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো।
সভায় বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার পৌর বিএনপি আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মনোয়ার আহমেদ রহমান, এনসিপি যুগ্ম সমন্বয়কারী এহসান জাকারিয়া, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ এহসান বিন মুজাহির এবং অনলাইন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি অঞ্জন প্রসাদ রায় চৌধুরী সহ আরও অনেকে। তারা সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য সরকারের কাছে শক্তিশালী পদক্ষেপ দাবি করেন।
অন্যদিকে, ৭ আগস্ট গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই সাথে দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনকে ইট দিয়ে আঘাত করা হয়, যদিও পুলিশ সদস্যরা সেসব হামলার সময় উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনাগুলো সাংবাদিকদের জন্য নিরাপত্তাহীনতার বড় সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সভায় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা তথ্যের সত্যতা প্রকাশের জন্য ঝুঁকি নিচ্ছেন এবং সেজন্যই তারা নানা ধরনের হামলার শিকার হচ্ছেন। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে বলে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এছাড়াও, মৌলভীবাজারে শমসেরনগর রোডে ব্যবসায়ী রুবেলের হত্যার প্রতিবাদ জানান বক্তারা এবং দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতারের আহ্বান জানান। তারা বলেন, অপরাধ ও সন্ত্রাসবিরোধী কঠোর পদক্ষেপ না নিলে সমাজে অরাজকতা বেড়ে যাবে।
সভা থেকে জোরালো দাবি করা হয়, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা যেন দৃষ্টান্তমূলক বিচার হয় এবং মূল পরিকল্পনাকারীসহ হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। তারা বলেন, দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য সাংবাদিকদের নিরাপত্তা অপরিহার্য।
মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের এই প্রতিবাদ সভা সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া আহ্বান এবং সাংবাদিকদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সভায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এ ধরনের প্রতিবাদ ও সচেতনতা সৃষ্টি হলে ভবিষ্যতে সাংবাদিক নির্যাতন কমবে এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।