প্রকাশ: ৯ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৫৪
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, যেসব স্থলবন্দর কার্যত লোকসানে রয়েছে এবং যেগুলোতে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য নয়, সেসব বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে চারটি স্থলবন্দর বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, দেশের মোট ২৪টি স্থলবন্দর রয়েছে, যার মধ্যে চারটি বন্ধ করা হয়েছে। বাকী ২০টি বন্দরের মধ্যে কার্যকর এবং ব্যবসায়িক দিক থেকে সক্রিয় মাত্র ১২ থেকে ১৪টি। এর মধ্যে অনেক বন্দরেই অর্থনৈতিক কার্যক্রম খুবই সীমিত। তিনি বলেন, “সারা বছর যেখানে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় হয় অথচ খরচ অনেক বেশি, সেখানে বন্দর আধুনিকায়নের অর্থনৈতিক কোনো লাভ নেই।”
তিনি আরও বলেন, যেসব বড় এবং কার্যকর স্থলবন্দর রয়েছে, সেগুলোকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে উন্নত করা হবে। পাশাপাশি কিছু নদী বন্দর রয়েছে, যেগুলোকে বেসরকারি খাতে পরিচালনার জন্য দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনের পর এম সাখাওয়াত হোসেন বন্দর কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা রাস্তাঘাট সংস্কার, ওয়্যারহাউজ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি বন্দরের বিভিন্ন অনিয়ম ও পণ্য আমদানির জটিলতা নিয়ে কথা বলেন এবং দ্রুত সেগুলো সমাধানের জন্য অনুরোধ জানান।
পরিদর্শনের সময় তিনি বন্দর ও কাস্টমসের বিভিন্ন অবকাঠামো ঘুরে দেখেন এবং হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেট এলাকায় যান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান, কাস্টমসের রংপুর বিভাগীয় কমিশনার অরুন কুমার, হিলি কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার, বাংলাহিলি কাস্টমস সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম, হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি মোঃ সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, ব্যবসায়ী মোঃ মুশফিকুর রহমান চৌধুরী সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে লোকসান কমানো এবং অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে, যাতে দেশের অর্থনীতিতে স্থলবন্দরগুলোর ভূমিকা শক্তিশালী হয়। ভবিষ্যতে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বন্দরগুলো আধুনিক ও লাভজনক রূপে গড়ে তোলা হবে।