প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১২:২৭
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের মাকড়াই এলাকায় শনিবার বিকেলে মাকড়াই দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা মহাসমাবেশে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙার ঘটনাকে ঘিরে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর বাড়ি যারা ভেঙেছে, তাদেরও বাড়িঘর আছে। তাদেরও কবর রয়েছে, তাদেরও স্মৃতিসৌধ রয়েছে। বাড়িঘর বা কবর হাতে নিয়ে ঘুরতে পারবেন না। তাই সীমা অতিক্রম করবেন না।”
এ সময় তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেন, “আপনাকে আমি অনেক বড় মানুষ ভেবেছি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙার ঘটনা আপনার শাসনামলে ঘটেছে। এটিকে হৃদয় থেকে মেনে নেওয়া যায় না। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে আপনার পরিণতি আরও কঠিন হবে।”
কাদের সিদ্দিকী বলেন, জনগণ রাস্তায় নেমেছিল বলে শেখ হাসিনার পতন ঘটেছে। এটি কোনো ব্যক্তির ইচ্ছার ফল নয়, বরং জনগণের শক্তি এবং আল্লাহর ইচ্ছার প্রতিফলন। তিনি বলেন, অন্যায়ের জন্য কেউ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যায়, তা তিনি বেঁচে থাকতে কখনো হতে দেবেন না। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “শেখ হাসিনার বিচার করুন এবং আইন অনুযায়ী শাস্তি দিন।”
মহাসমাবেশে কাদের সিদ্দিকী এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে ভেবেচিন্তে কথা বলার আহ্বান জানান। তিনি মনে করিয়ে দেন, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা এবং তিনি চিরকাল বাংলার মাটিতে থাকবেন। “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনাকে এক করে দেখবেন না। মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনা আলাদা এবং বঙ্গবন্ধু চিরকাল জাতির পিতা থাকবেন। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, তত দিন জয় বাংলা থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিসৌধ, তার বাড়ি এবং দেশের ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা সব সময় সকলের দায়িত্ব। এ ধরনের ঘটনা জাতীয় ঐক্য এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হুমকির মুখে ফেলে।
কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্যে স্পষ্ট করা হয়, জাতির পিতার প্রতি সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য। তিনি সকল রাজনৈতিক নেতা ও নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান যাতে সীমা অতিক্রম না হয়।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা তার বক্তব্যকে সমর্থন জানায় এবং বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ঐতিহ্য রক্ষা করার জন্য প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে। কাদের সিদ্দিকীর হুঁশিয়ারি রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে।