প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১৯:২০
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পুলিশের থাপ্পড়ে আলমনগর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে গোপালপুর থানার একটি কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। আহত যুবদল নেতাকে কানে সমস্যা হওয়ায় গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
জানা গেছে, নবগ্রাম উত্তর চরপাড়ার মৃত মান্নানের দুই ছেলে, মিঠু আকন্দ ও মিজু আকন্দের জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করতে সোমবার সালিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মিঠু আকন্দ অনুপস্থিত থাকায় মঙ্গলবার পুলিশ নিয়ে তাকে হাজির করা হয়। এর ফলে স্থানীয়রা পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার পর যুবদল নেতা আমিনুল ইসলামকে থানায় ডেকে আনা হয়। উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি কাজী লিয়াকত ভিপির উপস্থিতিতে একটি বৈঠক বসানো হয়। বৈঠকের সময় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে যুবদল নেতা ও থানার সাব ইন্সপেক্টর রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়।
আলমনগর ইউনিয়ন যুবদল নেতা অভিযোগ করেন, রুম থেকে বেরিয়ে আসার পর অন্য একটি কক্ষে সাব ইন্সপেক্টর রাসেল তাকে সজোরে থাপ্পড় দেন, যার ফলে তিনি আহত হন এবং কানে শুনতে সমস্যা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খাইরুল আলম জানান, চিকিৎসকরা তেমন কোনো গুরুতর আঘাত শনাক্ত করেননি, তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে রেফার করা হয়েছে।
সাব ইন্সপেক্টর রাসেল জানান, তিনি ৯৯৯ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এবং থানায় কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি। গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন বলেন, আলমনগরের বিএনপি নেতা পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছিলেন। ভুল বোঝাবুঝি হওয়ায় উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি কাজী লিয়াকত ভিপি জানান, যুবদল নেতার আহত হওয়ার ঘটনার কারণে সন্ধ্যায় পুনরায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা চালানো হবে।
এ ঘটনার পর স্থানীয়রা শান্তি রক্ষা ও রাজনৈতিক কার্যক্রমের স্বাভাবিকতা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তৎপরতা এবং রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।