প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ২১:১০
২০২৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসে বাংলাদেশ প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর বিডা অডিটোরিয়ামে বিনিয়োগ বিষয়ক সংবাদদাতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিডার ব্যবসায় উন্নয়ন প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ অগ্রসর পর্যায়ে পৌঁছেছে, যার মধ্যে রয়েছে স্বাক্ষরিত চুক্তি, জমি ইজারা নিশ্চিতকরণ এবং বরাদ্দপত্র। এই প্রবাহকে তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের জন্য ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেন।
রোচি আরও বলেন, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে (এসইজেড) বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে, যা সরকারের শিল্পায়ন অভিযানের একটি মূল স্তম্ভ। তিনি যোগ করেন, বিনিয়োগের মান ও স্থায়িত্বের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, শুধুমাত্র পরিমাণ নয়।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, যদি সুবিধা প্রদান আরও সহজ হয় এবং বিনিয়োগের এই প্রবণতা বজায় থাকে, তাহলে আগামী মাসগুলোতে আরও কার্যকর ফলাফল পাওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, মহামারী-পরবর্তী পুনরুদ্ধার পর্যায়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক এবং স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) তথ্য অনুযায়ী, প্রস্তাবিত বিনিয়োগের প্রায় ৬০ শতাংশ বর্তমানে অনুসন্ধানমূলক বা যথাযথ পরিশ্রমের পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন, প্রাথমিক আলোচনা এবং প্রাথমিক প্রকল্প পরিকল্পনা।
রোচি বলেন, বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ প্রায়ই অনুসন্ধানমূলক পর্যায়ে শুরু হয় এবং সঠিক সুবিধা প্রদান করলে ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হয়। প্রায় ২০ শতাংশ প্রস্তাব এখন আনুষ্ঠানিক নথিভুক্তির আগে গভীর যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
বেজার নির্বাহী সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. নজরুল ইসলাম জানান, একটি ইউনিফাইড ইনভেস্টমেন্ট পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। এটি বিনিয়োগের অবস্থা, অঞ্চল-নির্দিষ্ট উন্নয়ন, জমির প্রাপ্যতা এবং অনুমোদনের সময়সীমা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য একত্রিত করবে।
তিনি আরও বলেন, এই উদ্যোগ বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে এবং বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে দ্রুত ও কার্যকর করবে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
এই সংবাদটি বাংলাদেশের বিনিয়োগ খাতে ইতিবাচক প্রস্তাবনা এবং শিল্পায়নের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার প্রতিফলন ঘটায়।