রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম এক অফিস আদেশে তাকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের অপরাধ শাখায় পরিদর্শক (ক্রাইম) হিসেবে বদলি করেন।
অন্যদিকে, একই আদেশে বালিয়াকান্দি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ্ আল মামুনকে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, এটি আমাদের নিয়মিত বদলির অংশ। আমাকে যেখানে বদলি করা হয়েছে সেখানে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করব।
এ বিষয়ে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, গোয়ালন্দ থানার অফিসার ইনচার্জ এর বদলি পুলিশের নিয়মিত কাজের একটি অংশ মাত্র। দাপ্তরিক কাজের স্বার্থে তাকে পুলিশ অফিসের ক্রাইম শাখায় বদলি করা হয়েছে। এটি'কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গুজব আমাদের গোচরীভূত হচ্ছে।
তিনি এক বছর ধরে এ থানায় দায়িত্ব পালন করেছেন। এই বদলির সঙ্গে ৫ সেপ্টেম্বরের ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (৫ আগস্ট) জুম্মার নামাজের পর ঈমান-আকিদা রক্ষা কমিটির ব্যানারে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বিক্ষোভ মিছিলের পর পুলিশের উপর হামলা ও তিনটি সরকারি গাড়ি ভাঙচুর সহ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে আগুন দেয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় নুরাল পাগলার ভক্তদের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হন। হামলায় নিহত হন নুরাল পাগলার ভক্ত রাসেল মোল্লা। এতে ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে নুরাল পাগলের মরদেহটি কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুদ্ধ জনতা।
পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় শুক্রবার রাতেই গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই মো. সেলিম মোল্লা বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩ থেকে সাড়ে ৩ জনকে আসামি করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, নুরাল পাগলের দরবারে হামলায় ভক্ত রাসেল মোল্লা নিহতের ঘটনায় সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় অজ্ঞাতনামা সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন তার বাবা আজাদ মোল্লা। মামলায় হত্যাসহ অগ্নিসংযোগ, লাশ পোড়ানো, ক্ষতিসাধন, চুরি ও জখমের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।