প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩:৫১
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে নতুন হিসাব প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ৩০ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভের এ অঙ্ক পাওয়া গেছে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুসারে একই সময়ে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ পদ্ধতিতে রিজার্ভ হিসাব করার ফলে প্রকৃত চিত্র কিছুটা ভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়।
এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভের অবস্থান ছিল কিছুটা বেশি। ওই সময়ে গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩০ হাজার ৩০৭ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই তারিখে আইএমএফের পদ্ধতি অনুসারে হিসাব করলে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ২৫ হাজার ৩৯৭ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, রিজার্ভ পরিমাপের ক্ষেত্রে দুটি ভিন্ন হিসাব পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। গ্রস রিজার্ভে মোট বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ অন্তর্ভুক্ত হলেও, আইএমএফের বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে নিট রিজার্ভ নির্ধারণের জন্য কিছু দায়বদ্ধতা বাদ দেওয়া হয়। এতে করে বাস্তব পরিস্থিতি আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।
নিট রিজার্ভ সাধারণত গ্রস রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করার পর নির্ধারণ করা হয়। এজন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মূলত আইএমএফের পদ্ধতিই গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। বাংলাদেশও সেই মানদণ্ড অনুসারে নিয়মিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিজার্ভের এই অঙ্ক আমদানি ব্যয় মেটানো ও সামগ্রিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষা করতেও এ অর্থ সহায়ক।
তবে রিজার্ভের ওঠানামা নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, রপ্তানি আয়, প্রবাসী আয়ের প্রবাহ এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের ওপর নির্ভর করেই রিজার্ভের ভবিষ্যৎ অবস্থান নির্ধারিত হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, দেশীয় অর্থনীতির চাপ সামাল দিতে এবং আমদানি দায় পরিশোধ নির্বিঘ্ন করতে রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তারা আশাবাদী, বৈদেশিক আয় বাড়াতে নতুন পদক্ষেপ নিলে রিজার্ভের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।