সীমানা পরিবর্তনে সহিংস বিক্ষোভ, ফরিদপুরে মসজিদে আশ্রয় পুলিশের!

এই সহিংসতায় মাইটিভি সাংবাদিক সারোয়ার হোসেন কুপিয়ে আহত হন। এছাড়াও যমুনা টিভির প্রতিনিধি আব্দুল মান্নানসহ আরও কয়েকজন সাংবাদিক মারধরের শিকার হন। আহত সাংবাদিকদের বর্তমানে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

সকাল থেকে সড়ক অবরোধ শিথিল থাকলেও বেলা ১০টার পর পুনরায় অবরোধ শুরু হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। দুপুর ১টার দিকে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিলে যোগ দেন। পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালানোর ফলে কিছু পুলিশ কর্মকর্তা আশ্রয় নেন ভাঙ্গা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মসজিদে।

পরে বিক্ষুব্ধরা থানায় হামলা চালিয়ে গাড়ি ও ভবন ভাঙচুর করে। একে একে উপজেলা পরিষদ, হাইওয়ে অফিস এবং পৌরসভায় আগুন দেওয়া হয়। ইউএনও মো. মিজানুর রহমান জানান, তিনি এবং কর্মকর্তা নিরাপদ স্থানে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের গেজেটে ফরিদপুর-৪ আসনের আলগী ও হামিরদি ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর প্রতিবাদে এলাকাবাসী তিন দফায় মহাসড়ক, রেলপথ ও এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে আসছেন।

এদিকে, সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ম. ম. সিদ্দিক মিয়াকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। রোববার রাতে ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।