প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:১৫
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় ফেরিঘাট সংকটের কারণে যানবাহনের দীর্ঘ সিরিয়াল তৈরি হয়েছে, যা দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রাক চালকদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে। ঘাটে অল্প সংখ্যক যাত্রীবাহী যানবাহন থাকলেও ট্রাকের সংখ্যা অনেক বেশি, ফলে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
সিরিয়ালে আটকে থাকা যানবাহনের মধ্যে সবচেয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোর। ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় ট্রাকের লম্বা সারি লক্ষ্য করা গেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার কারণে চালক ও যাত্রীদের গোসল, খাওয়া-দাওয়া এবং টয়লেটের মতো দৈনন্দিন কাজেও অসুবিধা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, দৌলতদিয়ায় মোট সাতটি ফেরিঘাট রয়েছে। এর মধ্যে ১, ২, ৫ ও ৬ নম্বর ঘাট দীর্ঘদিন ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট সচল থাকলেও ৩ নম্বর ঘাটের পন্টুন প্লেট ভেঙে যাওয়ায় রবিবার রাত ১২টা থেকে মেরামতের কাজ চলছে। এছাড়া ৭ নম্বর ঘাট গত ২৩ আগস্ট থেকে বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে শুধুমাত্র ৩ নম্বর ঘাট সচল থাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সিরিয়াল তৈরি হয়েছে।
ফরিদপুর থেকে আসা গোল্ডেন লাইনের বাস চালক আঃ জলিল বলেন, দুই ঘণ্টা ধরে ঘাটে অপেক্ষা করছি। শুধুমাত্র একটি ঘাট চালু থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে। একইভাবে যশোর থেকে আসা ট্রাকচালক হাবিবুর রহমান জানান, সকাল থেকে সিরিয়ালে আটকে আছি এবং সময়মতো মালামাল পৌঁছাতে না পারায় পরিবহন খরচসহ অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ ভোগান্তি লাঘবে যাত্রীবাহী যানবাহন ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করছে। সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জানান, দুটি ঘাটের মধ্যে একটি ঘাট চালু থাকায় দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। মেরামত কাজ শেষ হলে খুব দ্রুত ঘাটটি সচল হবে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে নৌ-রুটে ছোট-বড় মিলিয়ে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। আশা করা যাচ্ছে, অন্যান্য ঘাট সচল হলে যানবাহনের ভোগান্তি দ্রুত কমবে এবং পারাপারে স্বাভাবিক গতি ফিরবে।