আইরিশদের ২৭৫ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার ১৪ই মে ২০২৩ ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
আইরিশদের ২৭৫ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

প্রথম ওয়ানডে পরিত্যক্ত হয় বৃষ্টিতে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ৩২০ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে ৩ উইকেটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে তিন পরিবর্তন নিয়ে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ। তবে সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে ৫০ ওভার খেলতে পারলো না বাংলাদেশ। আর তাই আইরিশদের বড় টার্গেট দিতে ব্যর্থ বাংলাদেশ। ৪৮ ওভার ৫ বলে ২৭৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।


এ দিন একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ।  এই ম্যাচ অভিষেক হয় ব্যাটার রনি তালুকদার ও পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর। অভিষিক্ত ম্যাচে তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামেন রনি। তবে অভিষেক রাঙাতে পারলেন না এই ব্যাটার। শুরু থেকেই আইরিশ পেসারদের তোপের মুখে ধুঁকতে থাকে রনি। মাত্র ৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। দলীয় ১৮ রানে ১৪ বলে মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান রনি। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রনি।  


এরপর  ক্রিজে আসেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরি করা নাজমুল হাসান শান্ত। শান্তকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন তামিম। কিছুটা মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকেন শান্ত। তবে দলীয় ৬৭ রানে আউট হন শান্ত। ৩২ বলে ৩৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।


শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন লিটন দাস। লিটনকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন তামিম। সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন লিটন। তবে ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন তিনি। দলীয় ১৩৭ রানে ৩৯ বলে ৩৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান লিটন। তবে অন্যপ্রান্তে কিছুটা দেখেশুনে খেলে ৬১ বলে ফিফটি তুলে নেন তামিম। 


তামিমের ফিফটির পর পরই সাজঘরে ফিরে যান তাওহিদ হৃদয়। দলীয় ১৫৯ রানে ১৬ বলে ১৩ রান করে ফিরে যান তিনি। হৃদয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন তামিম। তবে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি।


দলীয় ১৮৬ রানে ৮২ বলে ৬৯ রান করে আউট হন তামিম। তামিমের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মেহেদী মিরাজ। মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মুশফিক। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৭৫ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ২৬১ রানে ৫৪ বলে ৪৫ রান করে আউট হন মুশফিক।


মুশফিকের বিদায়ের পর দ্রুতই সাজঘরে ফিরে যান মিরাজ। দলীয় ২৬৫ রানে ৩৯ বলে ৩৫ করে ফিরে যান তিনি। এরপর দ্রুতই আরও তিন উইকেট হারায় টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৭৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।