১১ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আগামীকাল। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। গত ২০ দিনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ নিধনের অপরাধে বরিশালে বিভাগের বিভিন্ন নদীতে অভিযান চালিয়ে ৭০২টি মামলায় ৭৭২ জন জেলেকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৩ লাখ ১ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তারা আশা করছেন নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করায় গতবারের চেয়ে এবার ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং জেলেরা ইলিশ শিকারে গিয়ে হাসিমুখে ফিরে আসবে।
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১২ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভাগে ২ হাজার ৫২৭টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং ৯৩৯টি মোবাইল কোর্ট করা হয়েছে। গত ২০ দিনে বিভাগে ২৯৩ বার বিভিন্ন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ৩ হাজার ৯৯২ বার বিভিন্ন মাছঘাট, ৬ হাজার ৭৩৮ বার বিভিন্ন আড়ত ও ৪ হাজার ৪৩২ বার বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করেছে মৎস্য অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। এ সময়ের মধ্যে অভিযানে ১৪ হাজার ৯২ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৯ কোটি ১২ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ৬০০ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া জব্দ হওয়া সামগ্রী নিলাম করে আয় হয়েছে ৬ লাখ ১২ হাজার ৬০০ টাকা।
মৎস্য বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন জানান, ১১ অক্টোবর দিনগত মধ্যরাত থেকে ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত উপকূলের ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মূল প্রজনন স্থলসহ সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহণ ও বিপণন নিষিদ্ধ রয়েছে। এ সময়ে বরিশাল বিভাগের ৩ লাখ ৭ হাজার ৮৪১ জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ব্যতীত সঠিকভাবে পালন হয়েছে প্রতিটি জেলা উপজেলায়। বর্তমানে জেলেরা সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই সাগরে যেতে পারবেন জেলেরা। আশা করছি জেলেরা সাগর থেকে হাসিমুখেই ঘাটে ফিরে আসবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।