প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৬
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে এক নারী শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, দোষীকে আড়াল করে দায় অন্যের ওপর চাপানো হচ্ছে, যা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।
মঙ্গলবার দুপুরে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সামনে প্রচারণা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, তারা শুরু থেকেই প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
তিনি উল্লেখ করেন, রিটকারী শিক্ষার্থীকে সোমবার আলী হুসেন নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে গণধর্ষণের হুমকি দেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দোষারোপের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা অপরাধীকে বাঁচানোর কৌশল ছাড়া কিছু নয়।
সাদিক কায়েম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সঙ্গে কথা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের অবস্থান অস্পষ্ট। যদি সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হতো, এ ধরনের ঘটনা ঘটত না।
তিনি অভিযোগ করেন, ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জড়িত থাকার তথ্য থাকলেও অপরাধের দায় অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এর ফলে ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
ভিপি প্রার্থী আরও বলেন, তাদের প্যানেলের নারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যেভাবে হ্যারাজমেন্ট চালানো হচ্ছে, তা অগ্রহণযোগ্য। তবুও যখন তারা বিচার দাবি করছেন, তখন উল্টো তাদের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে।
তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, প্রকৃত অপরাধীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সাইবার বুলিং ও হুমকির ঘটনায় যেন আর কোনো শিক্ষার্থী ভুক্তভোগী না হন, সে জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।
এ ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ও নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অনেকে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানিয়েছেন।