প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:১
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এখন তা ৩১.৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার অবস্থান গত কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল এবং সাম্প্রতিক বৃদ্ধি অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক সংকেত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ৩১.৩৯ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী নিট রিজার্ভ এখন ২৬.৪০ বিলিয়ন ডলার। এর অর্থ, স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগের পর প্রকৃত রিজার্ভ এই পরিমাণে রয়েছে।
এর আগে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১.৩৩ বিলিয়ন ডলার। একই সময় আইএমএফের বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুযায়ী নিট রিজার্ভ ছিল ২৬.৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাম্প্রতিক সময়ে রিজার্ভে সামান্য বৃদ্ধি হয়েছে।
রিজার্ভ বৃদ্ধিতে প্রধানভাবে রপ্তানি আয় এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ অবদান রেখেছে। জুলাই-আগস্টে রপ্তানি আয়ে ১০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার অবস্থাকে আরও শক্তিশালী করেছে। এছাড়া বৈদেশিক ঋণ ও সহায়তা গ্রহণের ফলে রিজার্ভের সমন্বয় হয়েছে।
নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পদ্ধতির মাধ্যমে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে প্রকৃত বা নিট রিজার্ভ পাওয়া যায়। এটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং মুদ্রা বিনিময় বাজারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সূচক।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রিজার্ভের এই বৃদ্ধি দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে। এ সময় দেশের মুদ্রার মান ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রয়োগের মাধ্যমে অর্থনীতির সমন্বয় রাখা হবে। এই বৃদ্ধির ধারা বজায় থাকলে আগামী মাসগুলোতে আরও স্থিতিশীলতা আশা করা যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতি দেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক বার্তা হিসেবে ধরা হচ্ছে। রিজার্ভের বৃদ্ধি অর্থনীতিতে আস্থা বাড়াচ্ছে এবং বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ প্রসারিত করছে।