‘সারেগামাপা’ রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া বাংলাদেশের মাইনুল আহসান নোবেল বিভিন্ন সময় উদ্ভট মন্তব্যের জেরে অসংখ্য মানুষের অপছন্দের পাত্র হয়ে উঠেছেন। যতটা না আলোচিত হয়েছেন,তার চেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তার কিছু কর্মকাণ্ডে হতাশ ভক্ত ও সংগীতাঙ্গন। এদিকে গেল ২৫ আগস্ট বান্দরবানে ভ্রমণে এসে এই সংগীত শিল্পী জন্ম দিয়েছে নতুন ঘটনার, যা নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে তার প্রতি বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ ।
সুত্রে জানা যায়, ২৫ আগস্ট (বুধবার) রাতে পর্যটন জেলা বান্দরবানে এসে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে এক নারীকে নিয়ে বান্দরবান সদরের রুমা বাস স্টেশন এলাকার গার্ডেন সিটি নামে এক আবাসিক হোটেলে অবস্থান করে সংগীত শিল্পী নোবেল। পরে ২৬ আগস্ট সকালে হোটেল থেকে বের হয়ে বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় নেশা জাতীয় দ্রব্য খেয়ে ঘুরতে থাকার পাশাপাশি উদ্ভট আচরণ করতে থাকেন এলাকাবাসীর সাথে।
এদিকে একজন শিল্পী হয়ে পর্যটন জেলা ভ্রমণে বান্দরবানে এসে প্রকাশ্যে এলাকায় নেশাদ্রব্য পান করা ও এলাকার পরিবেশ নষ্ট করার কারণে এলাকার মানুষ তার উপর রেগে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে সে আবার সন্ধ্যায় গার্ডেন সিটি হোটেলে রাত্রিযাপনের জন্য উঠলে রাত ১২টায় হোটেলের অভ্যর্থনা কক্ষে এসে মদপানের পাশাপাশি চিৎকার ও শোরগোল শুরু করলে তাকে শান্ত করতে হোটেল কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
এদিকে তার আচরণে হোটেলে থাকা অন্যান্য বোর্ডাররা বিরক্ত হয়ে তাকে সামলাতে আসলে তিনি এক বোর্ডারকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ আসে। পরে হোটেলের মালিক মো. জাফর নোবেলের এই কর্মকাণ্ড দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে রাত ৩টা পর্যন্ত তাকে বুঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে ভোরবেলা সে তার রুমে ঘুমাতে যায়।
আবাসিক হোটেল গার্ডেন সিটির মালিক মো.জাফর জানান, ‘একজন সংগীত শিল্পীর এমন অসভ্য আচরণ খুবই খারাপ। শিল্পী হিসেবে তাকে আমি একটি রুম দিয়েছি, রুম ভাড়া নেওয়ার সময় তার সাথে এক নারী ছিল। সে তাকে প্রথমে স্ত্রী পরিচয় দেয়, পরে সে আবার তাকে বোন হিসেবে পরিচয় দিতে থাকে।’
গার্ডেন সিটির মালিক মো. জাফর আরো বলেন, ‘২৭ আগস্ট সারারাত সে হোটেলের অভ্যর্থনা কক্ষে বসে বিভিন্ন অসভ্য আচরণ করার পাশাপাশি নেশা খেয়ে আমাদের অন্য এক বোর্ডারের গায়ে হাত তুলেছে, পরে পুলিশ আসলেও সে কোন কথা মানতে নারাজ হলে আমি বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর জাকির হোসাইনকে বিষয়টি অবহিত করি।’
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সংগীত শিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল এর বিষয়ে আমরা হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।