নিয়তিকে দুষলেন ফারুক। কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি হলেও আইসিইউ বেড পায়নি স্ত্রী রেনু। খোদেজা বেগম রেনু (৩৯) করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হবার আগেই কানাডা থেকে তিন বছর পরে দেশে এসেছিলেন। ভেবেছিলেন পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে আবারও কানাডা ফিরে চলে যাবেন। কিন্তু গত মঙ্গলবার রাতে রেনু করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছেন।
তার স্বামী ফারুক ইকবাল জানান, দুই দিন আগে রেনুর জ্বর ও কাশি হলে পরিচিত একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে ফোনে পরামর্শ ও ওষুধ নেন। একই সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে।
রেনুর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে আপ্রাণ চেষ্টায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একটি বেড পান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে রেনুর শ্বাসকষ্ট কমছিল না, অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮০ তে নেমে গিয়েছিল। যেখানে স্বাভাবিক অবস্থায় ৯৬-১০০% থাকার কথা। এরপর শুরু হয় আইসিইউ ম্যানেজের চেষ্টা। কিন্তু মাত্র ১০টা আইসিইউ বেড থাকায় চাইলেও আইসিইউতে রেণুকে নেওয়া সম্ভব হয়নি। ওই চিকিৎসক আরও জানান, গতকাল অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে ৬০ এ আসে, তবুও অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা করা যায়নি। এরপর গতরাত আড়াইটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক রেনুকে মৃত ঘোষণা করেন।
রেনুর স্বামী ফারুক ইকবাল আজ বুধবার দুপুরে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘নিয়তিই আমাদের তিনবছর পর দেশে নিয়ে এসেছে, না হলে এমন হবে কেন।’
জানা যায়, রেনুর পরিবার মগবাজার নয়াটোলা এলাকায় বসবাস করেন। তাদের সংসারে তিন ছেলে রয়েছে। আজ রেনুর লাশ দাফনও সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
সূত্র: The Bengali litimes
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।