বছর দুই পর ফের মহামারীর আতঙ্কে থমথমে চিন। যেন ২০২০ সালের আতঙ্কের দিনগুলো ফিরে ফিরে আসছে। বেজিং-সহ চিনের একাধিক শহরে কার্যত লকডাউন। তবে যৌবনের উচ্ছ্বল জীবন তো আর মহামারীর ভয় করে না। বরং ছোঁয়াচে রোগবালাইয়ের চোখে চোখ রেখে উলটোপথে হাঁটার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়। যেখানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে নাগরিক জীবনযাপনের নির্দেশ দিচ্ছে প্রশাসন, সেখানে বরং আরও গা ঘেঁষেঘেঁষে থাকতে বদ্ধপরিকর প্রেমিক-প্রেমিকারা। আর সেই সুযোগেই উদ্দাম যৌনতায় (Sex) মাতছে যুগল। সম্প্রতি চিনে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যাতে দেখা গিয়েছে, তিনদিন ধরে হোটেলের ঘরে আটকে যৌনতায় মগ্ন এক তরুণ, তরুণী!
ঘটনা ঠিক কী? জানা গেল, একটি রেস্তরাঁয় খাওয়াদাওয়া করতে গিয়েছিলেন তরুণী। প্রেমিক আসার কথা ছিল সেখানে। রাত বাড়তেই রেস্তরাঁর তরফে কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা করে সবাইকে বিদায় দেওয়া হয়। কিন্তু ওই তরুণীর প্রেমিক না আসায় তিনি ফেরেননি, রেস্তরাঁর মধ্যে অপেক্ষা করছিলেন। কেউ তা টেরও পায়নি।
কিছুক্ষণ পর প্রেমিক আসে রেস্তরাঁয়। দু’জনে গল্পগাছা করে খাওয়াদাওয়া করেন। তারপর বেরতে গিয়েই দেখেন, এ কী! সমস্ত দরজা যে বন্ধ। কেউই নেই যে ওই প্রেমিক যুগলকে রেস্তরাঁ থেকে বেরতে সাহায্য করবে। আর কী করেন? রেস্তরাঁয় আটকা পড়তেই সময় কাটানোর ভাবনা ভাবতে থাকেন তাঁরা। প্রেমিকের সঙ্গে সেখানেই উদ্দাম যৌনতায় মাতেন। শারীরিক সম্পর্কের পর ক্লান্ত হয়ে পড়লে খাবারের খোঁজ করেন। রেস্তরাঁ আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্টোরে প্রচুর খাবারদাবার রাখা ছিল। তাতেই পেটের খিদে মেটান যুবক, যুবতী। তারপর ফের শরীরী খেলায় মাতেন।
এভাবে কেটে যায় তিনদিন। লকডাউনের মাঝে নিজেদের এই জীবনযাপন ভিডিওয় নিজেই তুলে ধরেন তরুণী। ব্যস, নিমেষেই ভাইরাল ভিডিওটি । তাতেই পুলিশ জানতে পারে, রেস্তরাঁয় তাঁদের এভাবে আটকে পড়ার খবর। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে উদ্ধার করে যুগলকে। তবে সব ছাপিয়ে করোনা আতঙ্কে কাঁপতে থাকা চিনের ফাঁকা রেস্তরাঁয় যেভাবে নিজেদের যৌন জীবন উপভোগ করলেন, তা অনন্য। উদ্ধার হওয়ার পর এমনই জানাচ্ছেন তাঁরা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।