রাশিয়ার সর্বনাশ, পৌষ মাস যাদের ...

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার ২১শে মার্চ ২০২২ ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
রাশিয়ার সর্বনাশ, পৌষ মাস যাদের ...

কাতারের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী এক চুক্তির চেষ্টা চালাচ্ছে জার্মানি। রাশিয়া থেকে গ্যাস সরবরাহের উপর নির্ভরতা কমাতেই এই উদ্যোগ। শুধু তাই নয় সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকেও বাড়তি পেট্রোলিয়াম আমদানির উদ্যোগ নিচ্ছে বার্লিন। খবর ডয়চে ভেলের।


জার্মান গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেন সংকটের কারণে রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিচ্ছে ইউরোপ। পেট্রোলিয়াম ও কয়লার বিকল্প উৎসের সন্ধান অপেক্ষাকৃত সহজ হলেও প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রে অবকাঠামোসহ একাধিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।


বিশেষ করে রাশিয়া থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের উপর নির্ভরশীল দেশ হিসেবে জার্মানি সমস্যার মুখে পড়েছে। ফলে অন্তত আংশিকভাবে হলেও রাশিয়ার বিকল্প হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার জার্মানির সেই সমস্যার সমাধান করতে পারে।



 

এমনই আশ্বাস পেয়েছেন জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর ও অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী রোব্যার্ট হাবেক। দোহায় সে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় জ্বালানির ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী বোঝাপড়ার পথে এগোচ্ছে দুই দেশ। তবে এখনো চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হয় নি।


কাতারের সঙ্গে জার্মানির রাজনৈতিক সম্পর্ক তেমন বন্ধুত্বপূর্ণ নয়। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান আচমকা পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে। কাতারের আমির শেখ তামাম বিন হামাদ আল তানি জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলরের সঙ্গে সাক্ষাতের পর জ্বালানিসহ একাধিক ক্ষেত্রে ‘নতুন করে’ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার আশা প্রকাশ করেন।


হাবেকের সফরসঙ্গী জার্মান কোম্পানির শীর্ষ প্রতিনিধিরা কাতার থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির লক্ষ্যে কাতারের কোম্পানিগুলির সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করবেন বলে জার্মানি জানিয়েছে। কাতার অবশ্য প্রকাশ্যে এমন কোনো আশ্বাস দেয় নি। বহুকাল ধরে সে দেশ এমন প্রচেষ্টা চালিয়েও জার্মানির পক্ষ থেকে কোনো আগ্রহ দেখতে পায় নি বলে মৃদু অভিযোগ করেছে।


জার্মানির এক বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে হাবেক বলেন, কোনো কারণে রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে আগামী শীতের মরসুমে অনেক বাড়িঘর গরম রাখা এবং শিল্পক্ষেত্রের অংশবিশেষে উৎপাদন চালিয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। বিকল্প সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারলে তবেই জার্মানি রাশিয়ার উপর নির্ভরতা কমাতে পারবে।


উল্লেখ্য, তরল প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি গ্রহণ করার জন্য জার্মানিতে এখনো কোনো অবকাঠামো নেই। ফলে জরুরি ভিত্তিতে দুটি বন্দরে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার। অন্যদিকে গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে বিনিয়োগের জন্য দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির পথে হাঁটছে কাতার। ২০২৭ সালের মধ্যে উৎপাদন ৫০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।