পাথরঘাটায় পাঁচ মন হরিণের মাংস সহ আটক ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি , বরগুনা
প্রকাশিত: সোমবার ৮ই এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৫৬ অপরাহ্ন
পাথরঘাটায় পাঁচ মন হরিণের মাংস সহ আটক ৩

সুন্দরবন সংলগ্ন বলেশ্বর নদীতে অভিযান চালিয়ে সাড়ে পাঁচ মণ হরিণের মাংসসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পাথরঘাটার দক্ষিণ স্টেশনের কোস্টগার্ড সদস্যরা। বিকেল ৫টায় আদালতের নির্দেশে কেরোসিন দিয়ে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে উদ্ধারকৃত মাংস গুলি ।


বিষয়টি নিশ্চিত করেন দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার ফিরোজ জামান।


কন্টিনজেন্ট কমান্ডার ফিরোজ জামান জানান, সুন্দরবন থেকে হরিণ নিয়ে বিষখালি নদী দিয়ে পাথরঘাটায় আসছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিষখালী নদীতে অবস্থান নেন তাঁরা। সকাল ১০টার দিকে বিষয়টি শিকারীরা টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে তাঁদের ধাওয়া দিয়ে সাড়ে ১০টার দিকে হরিণঘাটা ইকোপার্ক দক্ষিণের বিষখালী নদী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় দুজন পালিয়ে যায়। পরে তাঁদের ট্রলার তল্লাশি করে হরিণের তিনটি মাথাসহ সাড়ে পাঁচ মণ মাংস উদ্ধার করা হয়। মাংসগুলো বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— আলী হোসেনের ছেলে আফজাল হোসেন (৪৫), আব্দুল হকের ছেলে হারুন (৩৫) ও আব্দুল করিম হাওলাদারের ছেলে আব্দুল মান্নান (৫৫)।


তাঁদের সবার বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী তাফালবাড়িয়ার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। পালিয়ে যাওয়া দুজন হলো রশিদ শিকদারের ছেলে আবুল বাসার মাঝি ও সাহাদাত হোসেন। সাহাদাত হোসেনের বাবার নাম জানা যায়নি।


আটক আফজাল হোসেন বলেন, পাঁচ দিন আগে পাথরঘাটার বলেশ্বর নদীতে মাছ শিকারের জন্য বের হন তাঁরা পাঁচ জেলে। পরপর দুদিন মাছ না পেয়ে মাঝি আবুল বাশারের নির্দেশে সুন্দরবন প্রবেশ করে হরিণ শিকার করেন তাঁরা। সেখান থেকে ১০টি হরিণ শিকার করে মাংস নিয়ে আজ সোমবার সকালে বিষখালি নদী হয়ে পাথরঘাটার দিকে আসেন তাঁরা। কোস্টগার্ডের ধাওয়া খেয়ে আবুল বাসার মাঝি ও সাহাদাত হোসেন পালিয়ে যায়।


হরিণঘাটা বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, উদ্ধার হওয়া ৩টি মাথা ও ২২০ কেজি হরিণের মাংস বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে। মাংসগুলো বিকেল ৫টায় আদালতের নির্দেশে কেরোসিন দিয়ে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আটকদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা দিয়ে পাথরঘাটা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।