ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে, ভারতীয় বিমানবন্দর বন্ধ, বিমান পরিষেবা ব্যাহত

ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান শুরু হওয়ার পর। ভারতের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মিসাইল হামলা চালিয়েছে, যা পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দিয়েছে। এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে, ভারতীয় বিমান পরিবহণের উপর গভীর প্রভাব পড়েছে, এবং উত্তর ভারতের একাধিক বিমানবন্দর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ভারতের উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন বিমানবন্দর যেমন জম্মু, শ্রীনগর, লেহ, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় এবং রাজকোটে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া, স্পাইসজেট, এবং ইন্ডিগোসহ একাধিক বিমান সংস্থা যাত্রীদের জানিয়ে দিয়েছে যে, এসব বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে। এই সব বিমানবন্দর থেকে চলাচল করা আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলোও বাতিল করা হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এসব বিমানবন্দরগুলোতে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সব বিমান বাতিল করা হয়েছে। একইভাবে, স্পাইসজেট এবং ইন্ডিগো জানিয়েছে যে, শ্রীনগর, জম্মু, লেহ, অমৃতসরসহ বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ থাকার কারণে তাদের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

এছাড়া, ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে গত মাসে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পরই ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দিয়েছে, ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাঁচটি যুদ্ধ বিমান এবং একটি ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করেছে। পাকিস্তানের দাবি, তাদের সেনাবাহিনী ভারতীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

এদিকে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত তার নাগরিকদের উত্তরের দিকে যাত্রা না করার পরামর্শ দিয়েছে এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া উত্তর ভারতগামী বিমানযাত্রা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে এই সামরিক উত্তেজনার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে এবং এ পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য আন্তর্জাতিক সমঝোতার প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে।

এই উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় ও পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আকাশপথের নিরাপত্তা। বিমানবন্দরগুলো বন্ধ হওয়া এবং বিভিন্ন ফ্লাইট বাতিল হওয়ায়, যাত্রীদের যাত্রার আগে তাদের ফ্লাইটের অবস্থা যাচাই করার জন্য বিমান সংস্থাগুলো বারবার অনুরোধ জানিয়েছে।